আসাদ পরবর্তী সিরিয়ার প্রশাসনকে সহজভাবে মেনে নিতে পারেনি ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল। সেই সঙ্গে, নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে তুরস্কের ব্যাপক প্রভাবেও বেশ ভীত সন্ত্রস্ত অবৈধ রাষ্ট্রটি। তাদের লক্ষ্য, সিরিয়াকে বেশ কয়েকটি খন্ডে বিভক্ত করা। তবে দামেস্কে তুর্কি প্রভাবের ফলে তা অনেকটাই অসম্ভব। যে কারণে সিরিয়াতে রাশিয়ার উপস্থিতি চায় তেল আবিব। এজন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইতিমধ্যে তদবির শুরু করেছে ইসরাইল। উদ্দেশ্যে, সিরিয়াতে তুর্কি প্রভাব হ্রাস করে রাশিয়ার প্রভাব বৃদ্ধি করা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন এমন সব চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
এই ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট চারটি গোপন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, সিরিয়ার নতুন সরকার নিয়ে তেল আবিবের উৎকণ্ঠার বিষয়টি মার্কিন সরকারের কাছে জানিয়েছে ইসরাইল। বৈঠকের সাইড লাইনে একটি সাদা কাগজে ইসরাইল তার দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্ত করেছে। যেখানে লেখা হয়েছিল, সিরিয়ার নতুন প্রশাসনের জাতীয় ও আঞ্চলিক লক্ষ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন তেল আবিব।
গত মাসে এই বিষয়ে ওয়াশিংটনে আমেরিকার সিনিয়র অফিসিয়ালদের সাথে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেছে ইসরাইলি কর্মকর্তারা। এছাড়াও ইসরাইলে মার্কিন পার্লামেন্ট সদস্যদের সাথেও বৈঠক হয়েছে।
রয়টার্সের সূত্র থেকে আরো জানা যায়, ইসরাইলের লক্ষ্য সিরিয়াকে বিভক্ত ও বিকেন্দ্রীকৃত রাখা। পাশাপাশি দেশটিতে তুর্কি প্রভাব মোকাবেলা করা। আর এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য কার্যকর উপায় হল, সিরিয়ার তারতুসে রাশিয়ার নৌ ঘাঁটি এবং লাতাকিয়ার হমেইমিম বিমান ঘাঁটি বজায় রাখা। এতে দেশটিতে তুর্কি প্রভাব হ্রাস পাবে।
সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর