শনিবার | ৫ জুলাই | ২০২৫

অমরনাথ তীর্থযাত্রা আধিপত্য বিস্তারে ব্যবহৃত হলে জবাব দেওয়ার ঘোষণা কাশ্মীরী যোদ্ধাদের

spot_imgspot_img

দখলকৃত জম্মু-কাশ্মীরে হিন্দুত্ববাদী আধিপত্য বিস্তারে অমরনাথ তীর্থযাত্রাকে ব্যবহার করা হলে, এর উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে কাশ্মীরী স্বাধীনতাকামী যোদ্ধারা।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে আজ থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অমরনাথ তীর্থযাত্রা শুরু হয়েছে। একে নিরাপদ করতে মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলটিতে বিপুল সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে দেশটির সরকার।

গত মে মাসে পেহেলগাঁওয়ে রহস্যজনক সন্ত্রাসী হামলার জেরে ব্যাপক নিরাপত্তা উদ্যোগের অংশ হিসেবে এবছরের তীর্থযাত্রায় বিপুল সংখ্যক সেনা সমাবেশ ঘটানো হয়েছে বলে জানানো হয়।

জম্মু-কাশ্মীরে ভারতের সামরিক উপস্থিতির বিরুদ্ধে লড়াইরত কাশ্মীরী স্বাধীনতাকামী যোদ্ধারা সংবাদমাধ্যমকে জানান, তীর্থযাত্রাকে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানানোর কোনো পরিকল্পনা নেই তাদের। তবে ভারতের দখলদার সরকার যদি একে অঞ্চলটিতে হিন্দুত্ববাদী আধিপত্য বিস্তারে ব্যবহার করে, এর উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।

সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া হিন্দুদের অমরনাথ তীর্থযাত্রার প্রধান ও দীর্ঘতম দুটি রুট হলো, দখলকৃত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগাঁও ও বালতাল রুট। এই তীর্থযাত্রাকে কেন্দ্র করে ৫ লক্ষ স্থায়ী সেনা মোতায়েন থাকার পরও ৫৮০ কোম্পানি প্যারা মিলিটারী মোতায়েন করেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার। সংখ্যায় যার পরিমাণ ৬৯ হাজার ৬০০ জন।

এছাড়া পুরো অঞ্চল জুড়ে ফেস ডিটেকশনের মতো বিভিন্ন অত্যাধুনিক নিরাপত্তা সরঞ্জাম বসানো হয়েছে। ড্রোন উড়িয়ে সার্বক্ষণিক নজরদারি চালানো হচ্ছে। প্রতিটি এলাকা অবরুদ্ধ করে নিয়মিত তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।

তল্লাশি অভিযানে জুনে ৫ নিরীহ কাশ্মীরীকে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে বলে কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়। গ্রেফতার করা হয় ৪৫ জনকে।

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img