শনিবার | ৬ সেপ্টেম্বর | ২০২৫

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগের ঘটনায় ইন্তিফাদা বাংলাদেশের তীব্র নিন্দা

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগ না দিয়ে বরং জনগনের ধর্মীয় অনুভূতিকে উপেক্ষা করে গানের শিক্ষক নিয়োগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইন্তিফাদা বাংলাদেশ।

আজ শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানায় সংগঠনটি।

বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, সরকার একদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগে জনগণের দীর্ঘদিনের দাবিকে উপেক্ষা করেছে, অন্যদিকে সংখ্যাগরিষ্ট জনগনের ধর্মীয় অনুভূতিকে উপেক্ষা করে সংগীত শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। একই সাথে ‘তৃতীয় লিঙ্গ’ কোটার মাধ্যমে ট্রান্সজেন্ডারদের শিক্ষক পদে নিয়োগের সুযোগ তৈরি করে শিক্ষাক্ষেত্রে একটি বিতর্কিত সামাজিক এজেন্ডা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “দেশের প্রাথমিক শিক্ষায় যেখানে ১০% এর বেশি শিশু বাংলা পড়তে অক্ষম, ১৩% শিশু এক অঙ্কের সংখ্যা চিনতে পারে না, এবং প্রায় ১৫-১৭% শিশু ইংরেজির একটি বর্ণও পড়তে পারে না, সে প্রেক্ষাপটে মৌলিক শিক্ষা (বাংলা, ইংরেজি ও গণিত) নিশ্চিত করাই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। অথচ এ অবস্থায় সংগীতকে প্রাধান্য দেওয়া জাতীয় স্বার্থবিরোধী এবং শিক্ষার প্রায়োগিক বাস্তবতার সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। বাংলাদেশের ৯২% মুসলিম জনগোষ্ঠীর দাবি উপেক্ষা করে ইসলাম ধর্মের জন্য নির্দিষ্ট শিক্ষক না রেখে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ মুসলিম সন্তানের ধর্মীয় শিকড়কে দুর্বল করার সুস্পষ্ট প্রচেষ্টা।”

দেশের সকল অভিভাবক ও জুমার নামাজের খতিবগণকে আহ্বান জানিয়ে সংগঠনটি বলে, “আজকের জুমার খুতবায় সম্মানিত ঈমাম সাহেবগনকে সরকার কর্তৃক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত শিক্ষক নিয়োগের এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে স্পষ্ট প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানাচ্ছি। এ সিদ্ধান্ত মুসলিম সন্তানদের ধর্মহীনতার দিকে ঠেলে দেওয়ার চক্রান্ত। একই সাথে, আমরা দেশের অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানাই-আপনারা আপনার সন্তানদের ভবিষ্যৎ ও ঈমানি পরিচয়ের প্রশ্নে সচেতন হোন। সরকারের এই হঠকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানান এবং জনমত গড়ে তুলুন।”

বিবৃতিতে সরকারের কাছে তিন দফা দাবি জানায় সংগঠনটি:
১. সংগীত শিক্ষক নিয়োগের হটকারি সিদ্ধান্ত থেকে অনতিবিলম্বে সরে আসতে হবে।
২. ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
৩. শিক্ষা ক্ষেত্রে বিতর্কিত সামাজিক এজেন্ডা চাপিয়ে দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

spot_img
spot_img

এই বিভাগের

spot_img