আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আবার সহিংস হয়ে ওঠার অপচেষ্টা করছে।
শনিবার সকালে তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি অহেতুক রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। তাদের কর্মসূচি মানেই সন্ত্রাস ও সহিংসতা ছড়ানো।
তিনি বলেন, জনমানুষের সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি আবার সহিংস হয়ে ওঠার অপচেষ্টা করছে, কিন্তু জনগণ সচেতন রয়েছে। কর্মসূচিতে সহিংসতার উপাদান যুক্ত হলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে।
বিএনপির কাছে নিরপেক্ষ নির্বাচনের অর্থই হচ্ছে তাদেরকে নির্বাচনে জয়যুক্ত করে দেওয়ার গ্যারান্টি, বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে বার বার নির্বাচনের কফিনে গণতন্ত্রের লাশ উপহার দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নির্বাচনের আগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছিল, সেই ফ্রন্ট ছিল ক্ষমতা ভাগাভাগির ফ্রন্ট। পারস্পরিক অবিশ্বাস ও আস্থাহীনতায় কাদা ছোড়াছুড়ি, আর একজন আরেকজনকে বহিষ্কারই সে ফ্রন্টের সফলতা ছিল। এখন আবার তারা জাতীয় ফ্রন্ট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে, আসলে বিএনপির নেতৃত্বে মোর্চা গঠন জাতীয় ঐক্যের মুখোশের আড়ালে ক্ষমতা ভাগাভাগির ফ্রন্ট।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরাজ করছে স্থিতিশীলতা। করোনার অভিঘাত কাটিয়ে প্রতিটি খাতে ফিরতে শুরু করছে চাঞ্চল্য।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সরকারের নানামুখী উদ্যোগ চলমান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মিয়ানমারের সাম্প্রতিক পটপরিবর্তন এবং এর পরবর্তী পরিস্থিতির ওপর সরকার দৃষ্টি রাখছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পরিস্থিতির গভীরতা অনুভব করে বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে চলমান তৎপরতা আরও বেগবান করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সেতুমন্ত্রী।
তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, বাংলাদেশ আর কতকাল এ বোঝা বহন করবে?
একটি মহল করোনার টিকা নিয়ে এখনও সংশয় সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে, তাদের কথা কানে না নেওয়ার আহবান জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, টিকার নেতিবাচক কোনো প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি, তাই সবাইকে উৎসাহের সঙ্গে টিকা নেওয়ার আহবান জানাই।
১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে সভা-সমাবেশ, প্রতিনিধি সভা ও গণসংযোগ কর্মসূচি পালনের আহবান জানান ওবায়দুল কাদের।










