রবিবার | ৭ ডিসেম্বর | ২০২৫

গুম করার জন্য সরাসরি নির্দেশ দিতেন হাসিনা: ট্রাইব্যুনালকে চিফ প্রসিকিউটর

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল (জেআইসি) বা আয়নাঘরে গুম-নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তারেক সিদ্দিকী, পলাতক ডিজিএফআইয়ের সাবেক ৪ মহাপরিচালক ও গ্রেপ্তার তিন সেনা সদস্যসহ ১৩ জনের অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আবেদন করেছেন চীফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এসময় তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে বলেন, এসব গুমের সরাসরি নির্দেশ দিতেন শেখ হাসিনা।

রোববার (০৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল শুনানি শুরু হলে তিনি এ আবেদন করেন।

ট্রাইব্যুনারের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করছেন চীফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এ মামলায় গ্রেপ্তার রয়েছেন তিন সেনা সদস্য। এদিন সকালে ঢাকার সেনানিবাসের বিশেষ কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তায় তাদের হাজির করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার সেনা সদস্যরা হলেন- ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী।

শেখ হাসিনাসহ পলাতক অন্য আসামিরা হলেন- শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষাবিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) লে. জেনারেল (অব) মোহাম্মদ আকবর হোসেন, সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব) সাইফুল আবেদিন, লে. জেনারেল (অব) মো. সাইফুল আলম, সাবেক ডিজি লে. জেনারেল তাবরেজ শামস চৌধুরী, সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব) হামিদুল হক, মেজর জেনারেল তৌহিদুল ইসলাম, মেজর জেনারেল কবির আহাম্মদ ও লে. কর্নেল (অব) মখসুরুল হক।

এর আগে, ২৩ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়। একইসঙ্গে পলাতকদের পক্ষে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল। স্বেচ্ছায় লড়তে চাইলে শেখ হাসিনার আইনজীবী হন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেডআই খান পান্না। তবে শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে ৩ ডিসেম্বর তা প্রত্যাহার করলে মো. আমির হোসেনকে নিয়োগ দেয়া হয়।

গত ২২ অক্টোবর সেনা হেফাজতে থাকা এ মামলার তিন সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়। একইসঙ্গে পলাতক আসামিদের হাজিরের জন্য সাতদিনের মধ্যে দুটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

গত ৮ অক্টোবর এ মামলায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। পরে অভিযোগ আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

spot_img

সর্বশেষ

spot_img

এই বিভাগের

spot_img