বিখ্যাত কবি ও দার্শনিক আল্লামা ইকবালের ১৪৮ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করছে পাকিস্তান।
রবিবার (৯ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয়ভাবে দিবসটি উদযাপনে দেশটিতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এই জাতীয় ব্যক্তিত্বের সম্মানে আজ তার মাজারে দোয়া ও শ্রদ্ধা নিবেদনে ফুল অর্পণ ও জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে রক্ষী পরিবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পাক নৌবাহিনীর চৌকস সদস্যরা এতে গার্ড অফ অনার প্রদান করেন।
উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে পাক নৌবাহিনীর পাঞ্জাব সেন্ট্রাল কমান্ডার, রিয়ার অ্যাডমিরাল সোহেল আহমেদ আজমি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। মাজারে ফাতেহা পাঠ ও ফুল অর্পণ করেন। নিয়োজিত সেনাদের পরিদর্শন করেন। অতিথি বইতে অনুভূতিও প্রকাশ ও সাক্ষর করেন।
এছাড়া দেশটির রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী আল্লামা ইকবালের জন্মদিন উপলক্ষে পৃথক পৃথক বার্তা দেন।
রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারি বলেন, আল্লামা ইকবালের দৃষ্টিভঙ্গি উপমহাদেশের মুসলমানদের মধ্যে স্বাধীনতা ও আত্মনির্ভরতার চেতনা জাগিয়ে তোলে। ১৯৩০ সালে অল-ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ অধিবেশনে দেওয়া তার ভাষণ একটি স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ভিত্তি স্থাপন করে। আমরা এই অসাধারণ ব্যক্তিত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তার জীবন ও আদর্শ আমাদের সাহস জোগায়।
অপরদিকে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এই বিখ্যাত দার্শনিক ও কবিকে আধ্যাত্মিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক শক্তি আখ্যা দিয়ে বলেন, তিনি পরাধীনতার অন্ধকারে আলো জ্বালিয়েছেন এবং জাতিকে স্বাধীনতা ও আত্মনির্ভরতার পথ বাতলে দিয়েছেন। তার দর্শন আজও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ।
প্রসঙ্গত, উপমহাদেশের বিখ্যাত কবি ও দার্শনিক আল্লামা ইকবাল ১৮৭৭ সালের ৯ নভেম্বর পাকিস্তানের শিয়ালকোটে একটি দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বিশিষ্ট আলেম শায়েখ নূর মুহাম্মদ তার পিতা ছিলেন।
১৯৩০ সালে অল-ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ অধিবেশনে তার ভাষণ উপমহাদেশের মুসলিমদের জন্য স্বতন্ত্র, স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ভিত্তি স্থাপন করে।
১৯৩৮ সালের ২১ এপ্রিল লাহোরে এই বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের ইন্তেকাল হয়। লাহোরের বাদশাহী মসজিদ এবং লাহোর দূর্গের মাঝামাঝি অবস্থিত সুবিন্যস্ত বাগান হুজুরিবাগে তাকে দাফন করা হয়। পাকিস্তান সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে তার সমাধিতে নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে।
সূত্র: এআরওয়াই নিউজ









