বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় মহাসচিবের শরীরের অবস্থা তেমন ভালো ছিল না বলে জানান তার স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ৩টার দিকে রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে প্রথমে বিএনপি মহাসচিব এবং পরে শাজাহানপুরের বাসা থেকে মির্জা আব্বাসকে তুলে নেয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এ বিষয়ে মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) ভোরে সাংবাদিকদের বলেন, কাল-পরশুর মধ্যে তার (মির্জা ফখরুল) বিরুদ্ধে নাকি দুই-তিনটা মামলা হয়েছে। আপনারা কেন এসেছেন— জানতে চাইলে তারা বলেন, ওপরের নির্দেশে তাকে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে কার নির্দেশে নিয়ে যাচ্ছেন, সেটি তারা বলেননি।
রাহাত আরা বেগম আরও বলেন, তার শরীরের অবস্থা তেমন ভালো না। গতকাল (বৃহস্পতিবার) তার মিটিং ছিল। রাতে বাসায় এসে ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে যান। যে কাপড় পরে ছিলেন, সেভাবে গেছেন। যাওয়ার সময় টুকটাক ওষুধ নিয়ে চলে গেছেন। তারা আসছেন ৩টার মধ্যে, সাড়ে ৩টার মধ্যে বের হয়ে গেছেন।
তুলে নিয়ে যাওয়ার আগের ঘটনা বর্ণনা করে তিনি বলেন, ওরা নাকি চার-পাঁচটা গাড়ি নিয়ে রাত ১০টা থেকে টহল দিচ্ছিল। শুনেছি, আগে থেকেই হয়তো তাদের অ্যারেস্ট করার পরিকল্পনা মাথায় ছিল। এর পর ৩টার দিকে তারা নিচে দরজা খুলতে বলেন। ওরা (সিকিউরিটি গার্ড) দরজা খুলতে চাচ্ছিল না। তাদের চড়-থাপ্পড় দেওয়া হয়েছে। ওই সময় রাস্তার লাইট বন্ধ করা ছিল। আপনারা (সাংবাদিক) আসার সময় দেখেছেন। রাস্তায় একটা বড় লাইট জ্বলে, সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান জানান, রাত সোয়া ৩টার দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে তার উত্তরার বাসা থেকে এবং একই সময়ে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে তার শাজাহানপুরের বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ।