চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হয়েছে। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ আগামীকাল বুধবার (১০ ডিসেম্বর) হবে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) এ মামলায় বেরোবির সাবেক ভিসি হাসিবুর রশীদসহ ৩০ আসামির বিরুদ্ধে ২২ নম্বর সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন জুলাই আন্দোলনের অন্যতম এই সমন্বয়ক।
ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
জবানবন্দিতে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের পুরো ঘটনা বর্ণনা দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। সমন্বয়কদের তুলে নিয়ে কোথায় রাখা হয়েছিল তা বলতে গিয়ে নতুন এক সেইফ হাউজের কথা জানান। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সময় টিভি, ডিবিসি, ৭১ টিভিসহ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলের ‘নোংরা ভূমিকা’ পালন করেছে বলে উল্লেখ করেন। তাদের সামনে বসেই স্ক্রল বলতেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। আর সেই কথাই টিভি চ্যানেলে প্রচার করা হতো বলেও ট্রাইব্যুনালের কাছে অভিযোগ করেন এই জুলাইযোদ্ধা।
পরে তাকে জেরা করেন স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী আমিনুল গণি টিটো, কনস্টেবল সুজন ও এএসআই আমির হোসেনের পক্ষে শুনানি করেন আজিজুর রহমান দুলু। পরে তাদের জেরার সঙ্গে একমত পোষণ করেন অন্য আইনজীবীরা। পরে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
এ মামলায় ৩০ আসামির গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন, এএসআই আমির হোসেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ।









