শুক্রবার | ৩১ অক্টোবর | ২০২৫

হিন্দুত্ববাদীদের পক্ষ নিয়ে আপাতত হিজাব না পরার নির্দেশ দিল কর্ণাটক হাইকোর্ট

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পড়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে ভারতের কর্ণাটকের উগ্র হিন্দুত্ববাদী শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে নিজেদের হিজাব পড়ার অধিকারের দাবিতে মাঠে সরব হয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে সেখানকার শিক্ষার্থীরা। তারা এ বিষয়ে সমাধানের লক্ষ্যে কর্ণাটক হাইকোর্টে পিটিশন দায়ের করে। তবে আদালত হিন্দুত্ববাদীদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আপাতত ‍মুসলিম শিক্ষার্থীদের হিজাব বা যেকোনো ধরনের ধর্মীয় পোশা না পড়তে নির্দেশ দেয়।

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) কর্ণাটকের প্রধান বিচারপতি ঋতুরাজ অবস্থি, বিচারপতি কৃষ্ণা দিক্ষিত ও বিচারপতি জেএম খাজিকে নিয়ে গঠিত তিন সদস্যের বেঞ্চ এ নির্দেশ দেয়।

শুনানিতে আদালত বলেছেন, তারা দ্রুততম সময়ে সমস্যার সমাধান করতে চান। তবে এর মধ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতাও বজায় রাখতে হবে। যতদিন এ বিষয়ে মামলা চলছে, ততদিন ধর্মীয় পোশাক পরে শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আগামী সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আবারও এ বিষয়ে শুনানি হবে।

বিচারপতি অবস্থি বলেন, ঝামেলা না মেটা পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় পোশাক পরতে কারও জোর করা উচিত নয়। আমরা আদেশ দেবো। স্কুল-কলেজ খুলতে দেন। কিন্তু বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীর ধর্মীয় পোশাক পরা উচিত হবে না।

এদিন শিক্ষার্থীদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে আদালতে বলেছেন, কর্ণাটকের শিক্ষা আইনের কোথাও ইউনিফরম বাধ্যতামূলক বলা নেই। বিষয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর হাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আগে কলেজগুলোতে এর বাধ্যবাধকতাও ছিল না।

ভারতে হিজাব নিয়ে হিন্দুত্ববাদীদের উগ্রতার শুরু মূলত গত ডিসেম্বরে। সেসময় কিছু মুসলিম ছাত্রী হিজাব পরে উড়ুপির একটি কলেজে যাচ্ছিলেন। তার প্রতিবাদে হিন্দুত্ববাদী শিক্ষার্থীরা গেরুয়া বস্ত্র পরে কলেজে যেতে শুরু করে। এরপর কর্ণাটকের হিন্দুত্ববাদী বিজেপিশাসিত সরকার কলেজছাত্রীদের হিজাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

spot_img

সর্বশেষ

spot_img

এই বিভাগের

spot_img