ক্ষমতা গ্রহণের পর আফগানিস্তানের সীমান্ত থেকে মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধ করা ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের জন্য ছিল এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। এই পথ সহজ ছিল না—প্রতিনিয়ত নানা প্রতিবন্ধকতা ও জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাদের। তবে নিমরোজ প্রদেশের গভর্নরের দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্যের কথা উঠে এসেছে: দেশের সবচেয়ে সক্রিয় চোরাচালান পথ হিসেবে পরিচিত নিমরোজ সীমান্ত থেকে এখন ৯০ শতাংশ পর্যন্ত মাদক, অস্ত্র ও মানব পাচার কার্যক্রম সফলভাবে দমন করা হয়েছে—যা এই যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার পথে এক বড় অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আফগানিস্তানের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়ার সাক্ষাৎকারে নিমরোজের গভর্নর মুহাম্মাদ কাসিম খালিদ জানিয়েছেন, ইরানের সঙ্গে নিমরোজ সীমান্ত দিয়ে ৯০ শতাংশ মাদক, অস্ত্র ও মানব পাচার প্রতিরোধ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এইসব চোরাচালানকারীদের মূল হোতা আফগানিস্তানে নয়, বরং বাইরে থেকে অপরাধের নেতৃত্ব প্রদান করছে।
এই বিষয়ে নিমরোজের গভর্নর বলেন, “এই পাচারকারীরা খুবই দক্ষ ব্যক্তি। প্রধান পাচারকারীরা হয় ইরান, তুরস্ক বা অন্য কোনো দেশে অবস্থান করে এবং তারা আফগান প্রদেশগুলোতে টেলিফোন সমন্বয়ের মাধ্যমে স্থানীয় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে কাজ চালায়। তাদের নিমরোজেও প্রতিনিধি ছিল, কিন্তু এখানে যারা সক্রিয় ছিল, তাদের নির্মূল করা হয়েছে।”
সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তানের সাথে থাকা সীমান্তে প্রাচীন নির্মাণ করেছে ইরান। এবিষয়ে তিনি বলেন, সীমান্ত রক্ষা করা প্রতিটি দেশের বৈধ অধিকার, তবে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডও মেনে চলা জরুরি।
এছাড়াও, ইরান ও পাকিস্তানে থাকা আফগান অভিবাসীদের সাথে আন্তর্জাতিক আইন ও ইসলামী ভ্রাতৃত্ব অনুসরণ করে মানবিক আচরণের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সূত্র: তোলো নিউজ