রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় আলোচিত ও বিতর্কিত ‘টিপকাণ্ডে’ মানহানির অভিযোগে মামলা করেছেন চাকরি হারানো কনস্টেবল নাজমুল তারেক। এই মামলায় তেজগাঁও কলেজের শিক্ষিকা ড. লতা সমাদ্দার, তার স্বামী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচ্যকলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মলয় মালা এবং আরও ১৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে; যারা তৎকালীন সময়ে পুলিশের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক প্রচারণায় সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ্ ফারজানা হকের আদালতে মামলার আবেদন করেন কনস্টেবল নাজমুল তারেক। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে শেরেবাংলানগর থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী তৌহিদ খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন, অভিনেত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক মনোনীত এমপি সুবর্ণা মোস্তফা, নাট্য অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন, সাজু খাদেম, প্রাণ রায়, সায়মন সাদিক, মনোজ প্রামাণিক, স্বাধীন খসরু, চয়নিকা চৌধুরী, আশনা হাবিব ভাবনা, জ্যোতিকা জ্যোতি, উর্মিলা শ্রাবন্তী কর, দেবী সান, নাজনীন নাহার চুমকি, সুষমা সরকার ও কুসুম সিকদার। এছাড়াও শোবিজ অঙ্গনের আরও কিছু ব্যক্তিকে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে রাখা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়েছে, ২০২২ সালে টিপ পরা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্ক শুরু হলে এসব ব্যাক্তিরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেন। তারা কনস্টেবল নাজমুল তারেককে লক্ষ্য করে সামাজিক মাধ্যমে ছবি ও বক্তব্য দিয়ে বিদ্বেষ ছড়ান, যার ফলে তিনি তার চাকরি হারান এবং সামাজিক ও পেশাগত জীবনে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েন।
শোবিজ অঙ্গনের অনেক ব্যাক্তি এই ঘটনার একপেশে ব্যাখ্যা দিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। এরপর নাজমুল তারেক চাকরি হারান। বর্তমানে তিনি তার চাকরি ফিরে পাওয়ার জন্য প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন এবং পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছেও আবেদন করেছেন।