ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী মোদি নেতৃত্বাধীন সরকারকে মূল্যায়নে ‘শূন্য’ নাম্বার দিবেন বলে জানিয়েছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।
মঙ্গলবার (১০ জুন) মুসলিম মিররের খবরে একথা জানানো হয়।
খবরে বলা হয়, মাইসুরুতে নিজ বাসভবনে সংবাদমাধ্যমের সাথে আলাপকালে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া জানিয়েছেন, ১১ বছর ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে মূল্যায়নে তিনি শূন্য নাম্বার দিবেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি অসত্য প্রচার-প্রচারণার উপর নির্ভর করে ১১ বছর ধরে ক্ষমতায় টিকে আছেন।
তিনি ‘নোটবান্দির’ (নির্দিষ্ট কিছু নোট নিষিদ্ধ) ফলে কারা লাভবান হয়েছে বলে প্রশ্ন তুলেন। ‘আচ্ছে দিন’ (ভালো দিন আসছে) কর্মসূচি, প্রতি বছর দুই কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা এবং কৃষকদের সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে মোদি সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো তা সাংবাদিকদের মনে করিয়ে দেন। জিজ্ঞাসা করেন, কৃষকদের সমস্যার সমাধান যদি হয়েই থাকে তাহলে কেনো তারা এক বছর ধরে আন্দোলন করেছিলো?
এসব উল্লেখের পর তিনি বলেন, মোদি সরকার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেননি। তিনি প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ এবং প্রতিশ্রুতি পূরণ করা ছাড়াই ১১ বছর ক্ষমতায় টিকে আছেন। এজন্য তিনি গণমাধ্যমেরও সমালোচনা করেন, যারা মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে তাকে ক্ষমতায় টিকে থাকতে সাহায্য করেছে।
তিনি মোদির রাজনৈতিক দল বিজেপির কঠোর সমালোচনা করে বলেন, কর্ণাটক সরকার যখন গ্যারান্টি দিয়ে প্রকল্প ঘোষণা করেছিলো সমালোচকরা দাবি করেছিলো যে সেগুলো বাস্তবায়ন করা যাবে না। রাজ্য দেউলিয়া হয়ে যাবে। অথচ একই প্রকল্প পরবর্তীতে রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ এবং দিল্লিতে নকল করে বাস্তবায়িত করা হয়!
তিনি উগ্র হিন্দুত্ববাদী সরকার প্রধান নরেন্দ্র মোদির অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি ৫০ শতাংশ কর ভাগের পক্ষে ছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রকাশ পায় যে, তা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছুই ছিলো না। তার সরকারের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও ঘোষণা করেছিলেন যে, সরকার কর্ণাটককে ৫,৩০০ কোটি টাকা দিবে। কিন্তু এখনও তা দেওয়া হয়নি।
মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া আরো বলেন, ১৫তম অর্থ কমিশন কর্ণাটককে ১১,৪৯৫ কোটি টাকার তহবিল দেওয়ার সুপারিশ করলেও তা আটকে রাখা হয়েছে। তিনি কর্ণাটকের বিরুদ্ধে সরকার কর্তৃক অন্যায়ের অভিযোগকে অস্বীকার করেন। বিজেপির বিরুদ্ধে ভুল তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ আনেন।
