হিন্দুত্ববাদী ‘সাভারকর অ্যাওয়ার্ড’ প্রত্যাখ্যান করলেন কংগ্রেস নেতা ও খ্যাতিমান লেখক শশী থারুর।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) মুসলিম মিররের এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বীর সাভারকর অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’ অনুষ্ঠানে যোগদান ও পুরস্কার গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা ও সাংসদ শশী থারুর। সম্মতি ছাড়াই এই পুরস্কারের জন্য তার নাম ঘোষণা করায়, করেছেন আয়োজকদের নিন্দা ও সমালোচনা।
নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের সাথে সাক্ষাতের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বার্তায় তিনি জানান, মঙ্গলবার স্থানীয় নির্বাচনের জন্য কেরালায় থাকাকালীন মিডিয়া রিপোর্টের মাধ্যমে পুরস্কার প্রাপ্তির কথা তিনি জানতে পারেন।
সম্মতি ছাড়াই আয়োজক কর্তৃক নাম ঘোষণার সিদ্ধান্তকে তিনি দায়িত্বজ্ঞানহীন উল্লেখ করে বলেন, পুরষ্কারের প্রকৃতি, প্রদানকারী সংস্থা ও প্রাসঙ্গিক বিবরণ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা ব্যতীত অনুষ্ঠানটিতে আমার যোগদান ও পুরস্কার গ্রহণের কোনো প্রশ্নই উঠে না।
তিনি আরো বলেন যে, তার সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে পরামর্শ ও যোগাযোগ কোনোটিই করা হয়নি। তার পক্ষ থেকেও কোনোভাবে এর অনুমোদন দেওয়া হয়নি। মঙ্গলবার জনসমক্ষে এব্যাপারে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া সত্ত্বেও আয়োজকরা একতরফাভাবে তার নাম প্রকাশ করেছে। আনুষ্ঠানিক সূত্রে তিনি এধরণের কোনো পুরস্কার বা সম্মাননা পেতে যাচ্ছেন বলেও জানতেন না বলে অভিযোগ করেন।
সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা ‘কে. মুরলীধরন’ প্রকাশ্যে থারুর সহ দলের অন্যান্য সদস্যদের সাভারকরের নামে কোনো পুরস্কার গ্রহণ না করার অনুরোধ জানালে এবিষয়ে বিতর্ক আরও তীব্র হয়ে উঠে। কেননা সাভারকর ছিলেন একেক হিন্দু রাষ্ট্রের ধারণা ও হিন্দুত্ববাদের জনক। তাকে গান্ধী হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী বলে অভিযোগ করা হয়। আরো অভিযোগ করা হয়, কারাবাসের সময় ব্রিটিশদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ও আক্ষরিক অর্থে মাথা নত করার।
হাইরেঞ্জ রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (এইচআরডিএস) ইন্ডিয়া নামক যে সংস্থাটি ‘বীর সাভারকর অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’ অনুষ্ঠান ও সম্মাননা প্রদানের আয়োজন করেছিলো, এর সচিব আজি কৃষ্ণান থারুরের বক্তব্যের জবাবে বলেন, সাংসদকে ব্যক্তিগতভাবে আগে থেকেই অবহিত করা হয়েছিলো। আমাদের প্রতিনিধি ও জুরি চেয়ারম্যান থারুরের দিল্লির বাসভবনে দেখা করেছিলেন এবং প্রাপকদের তালিকা হস্তান্তর করেছিলেন। কংগ্রেস এটিকে রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত করার আগ পর্যন্ত তিনি তা গ্রহণে কোনো ধরণের অস্বীকৃতিও জানাননি।
অপরদিকে কেরালার আইনমন্ত্রী পি. রাজীব (সিপিআই-এম) এই প্রসঙ্গে বলেন, পুরস্কার গ্রহণ করা বা না করা সম্পূর্ণরূপে থারুরের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।









