মাহবুবুল মান্নান
জাতীয় হাফেজে কোরআন পরিষদ বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে হাফেজে কুরআনদের সম্মানে ইফতার মাহফিল ও কৃতি হাফেজে কুরআন সম্মাননা-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার (১০এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরীর খুলশিতে অবস্থিত হালিমা রোকেয়া মেমোরিয়াল হলে এ আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে।
জাতীয় হাফেজে কুরআন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মুহাম্মাদ নোমান ও হাফেজ রিদওয়ানুল হক শাকীরের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার হাফেজ মকছুদ বিন কমরী।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সেক্টরে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখা বিশিষ্ট হাফেজে কুরআনদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এতে প্রবীণ হাফেজ কুরআন হিসেবে দীর্ঘ ৪৩ বছর পবিত্র কুরআনের খেদমত করায় নগরীর মুরাদপুরের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাদরাসা-ই আলী বিন আবি তালিবের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা হাফেজ ক্বারী আব্দুল মান্নানকে বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। এছাড়া দ্বীনি দাওয়াত প্রচারের ক্ষেত্রে হাফেজ মাওলানা মাহফুজুর রহমান মিনহাজ, চিকিৎসা সেবায় অসামান্য অবদান রাখায় হাফেজ ডেন্ট্রিস্ট সাজ্জাদ রশিদ মারুফ, প্রকৌশলী ক্ষেত্রে হাফেজ ইঞ্জিনিয়ার নাজমুস সা’আদাত আস সাকিব,তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে হাফেজ ইঞ্জিনিয়ার হাফেজ আব্দুর রহমান এবং সামাজিক কর্মকান্ড ও আর্ত মানবতার সেবায় অবদান রাখায় কনিকা- একটি রক্তদাতা সংগঠন এর প্রতিষ্ঠাতা হাফেজ সাইফুল্লাহ মুনিরকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের প্রফেসর ড. বি.এম মফিজুর রহমান আল আজহারী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, নবীদের উত্তরাধিকারী হচ্ছেন আলেমগণ। আর হাফেজগণ আলেমদের মাথার মুকুট। অতএব আপনারা হাফেজে কোরআনদের ছায়াতলে এসে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কোরআনের আলো ঘরে ঘরে পৌঁছে দিন।
প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ইসলামিক স্কলার ড. শহীদুল হক। তিনি তার বক্তব্য কুরাআন ও হাদীসের আলোকে হাফেজে কুরাআনদের মর্যাদার বিষয়ে বিশেষ আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম হালিশহর বায়তুল করীম মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, কদমতলী বায়তুল জান্নাত মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা তৈয়ব, প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের ভাইস চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ, পাহাড়তলী বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাস্টার ইয়াসিন, সমাজ সেবক আলহাজ্ব বদরুল হুদা মুরাদ ও বিশিষ্ট চিকিৎসক হাফেজ ডা. মুজিব।
পরিষদের পক্ষ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন হাফেজ ডেন্ট্রিস্ট সাজ্জাদ মারুফ,হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ সালাহ উদ্দীন সোহেল, হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ আল- মামুন, হাফেজ মাওলানা মাহফুজুর রহমান মিনহাজ ও হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিনসহ পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
পরে কদমতলী বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা তৈয়ব এর দুআ ও মোনাজাতের মাধ্যমে উক্ত অনুষ্ঠান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।