মাহমুদ খলিল নামে ফিলিস্তিনপন্থী এক মানবাধিকার কর্মী দুই কোটি ডলার ক্ষতিপুরণ দাবি করে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। বেআইনীভাবে তাকে তিন মাসের বেশি সময় ধরে আটক রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দায়ের করা মামলায় খলিল অভিযোগ করেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন তার সুনাম ক্ষুন্ন করেছে, তার বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণভাবে মামলা দিয়েছে এবং তাকে বেআইনিভাবে কারাবন্দী করেছে।
মামলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগ, অভিবাসন এবং কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) এবং পররাষ্ট্র দপ্তরকে বিবাদী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খলিল বলেন, তিনি আশা করেন তার এ মামলা প্রমাণ করবে ট্রাম্প প্রশাসন মানবাধিকার কর্মীদের দমন করতে ভয় দেখাতে পারে না।
খলিল বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসন তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করছে কারণ তারা মনে করে যে তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে।’
কলোম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক এই শিক্ষার্থীর মতে, তারা যদি ভাবতে থাকে যে, তাদের কোনো ধরনের জবাবদিহিতা করতে হবে না, তাহলে কণ্ঠরোধের চেষ্টা অপ্রতিরোধ্য হয়ে পড়বে।
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী খলিল বলেন, ক্ষতিপুরণ আদায় হলে, ট্রাম্প যাদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করেছেন, তাদের সাহায্যে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের প্রত্যাবাসন নীতি সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছেন। ফিলিস্তিনপন্থীদের আন্দোলনের কারণে খলিল নিজেও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হচ্ছেন।
সিরিয়ার দামেস্কে ফিলিস্তিনি বাবা-মায়ের ঘরে জন্মগ্রহণকারী খলিল ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরাইলের হামলা শুরু হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনি সংহতি আন্দোলনের একজন মুখপাত্র ছিলেন।
ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে শিক্ষার্থীদের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের দমন-পীড়নের সময় খলিলই প্রথম গ্রেপ্তার হন। ৮ মার্চ তার গর্ভবতী স্ত্রী নূর আবদাল্লার করা ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা পোশাক পরা অভিবাসন কর্মকর্তারা খলিলকে হাতকড়া পরিয়ে নিউ ইয়র্ক সিটিতে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স থেকে বের করে আনছেন।
এরপর তাকে দ্রুত নিউ ইয়র্ক থেকে নিউ জার্সিতে এবং তারপর লুইজিয়ানায় কারাবন্দি করে রাখা হয়। তবে খলিলের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের অভিযোগ আনা হয়নি।
সূত্র : আল জাজিরা









