ইন্দোনেশিয়া-নেপালের পর এবার সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ফ্রান্স। বিক্ষোভ দমনে চলছে গ্রেপ্তার, এ পর্যন্ত প্রায় ৩০০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশজুড়ে ৮০,০০০ পুলিশ ও নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে রাজধানী প্যারিসসহ বিভিন্ন শহর বিক্ষোভকারীরা সড়ক অবরোধ, ব্যারিকেড তৈরি এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা সবকিছু বন্ধ করার (‘ব্লোকঁ তু’) আন্দোলনের ডাক দিলে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজপথ।
এ সময় পুলিশের টিয়ারশেল নিক্ষেপে বিক্ষোভকারী তরুণদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ ঘটে। নতুন প্রধানমন্ত্রী সেবাস্তিয়াঁ লেকর্নু দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই পুরো দেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে।
রাজধানী প্যারিস, রেনেস, নান্টেস, মন্টপেলিয়ে এবং মার্সেইল শহরে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় ব্যারিকেড তৈরি করেছে এবং আগুন ধরিয়েছে। রেনে একটি বাসে আগুন লাগানো হয়েছে এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রেললাইনে বৈদ্যুতিক লাইনের ক্ষতির কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বিক্ষোভকারীরা মূলত প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর বাজেটে ব্যয় সংকোচন নীতি এবং সামাজিক সেবার বৈষম্যের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রেতাইয়ো বলেন, ‘এই আন্দোলনের উদ্দেশ্য স্পষ্ট ইচ্ছাকৃতভাবে বিদ্রোহের পরিবেশ তৈরি করা।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আন্দোলন মূলত তরুণ সমাজের মধ্যে সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসন্তুষ্টির প্রকাশ। এর ফলে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সামাজিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবন, যাত্রী চলাচল ও সরকারি সেবা প্রভাবিত হচ্ছে।
প্যারিসের কয়েকটি এলাকায় ধর্মীয় সহিংসতার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। মসজিদের বাইরে প্রেসিডেন্ট ম্যাত্রেঁদ্ধার নাম লেখা শূকর-মূর্তি পাওয়া গেছে। বিষয়টি বর্তমানে তদন্তাধীন।
ফ্রান্সজুড়ে ‘ÔBloquons ToutÕ ’ (ব্লোকঁ তু, সবকিছু বন্ধ করো) আন্দোলন চলতে থাকায় সাধারণ মানুষকে জরুরি ক্ষেত্রে ছাড়া রাস্তায় না বের হওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।