ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ‘আই লাভ মুহাম্মাদ’ লেখা পোস্টার ও ভিডিও প্রদর্শনের অভিযোগে দশজন মুসলমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, এসব পোস্টার ও ভিডিও রাজ্যের ‘সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারে’।
দেশজুড়ে ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ প্রচারণা আলোচনায় আসে কানপুরে, যখন মিলাদুন্নবী শোভাযাত্রার সময় এই পোস্টার প্রদর্শনের অভিযোগে কয়েকজন মুসলমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়; বিপুলসংখ্যক মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানায়।
প্রচারটির সমর্থকেরা সংহতি প্রকাশে ব্যানার বহন করেন, নিজেদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রোফাইল ছবিতে ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ স্লোগান যুক্ত করেন এবং বাড়ি, দোকান ও কমিউনিটি সেন্টারের সামনে একই ধরনের পোস্টার টানিয়ে দেন। আন্দোলনটি দ্রুত কানপুরের বাইরে ছড়িয়ে পড়ে এবং দেশজুড়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্মীয় পরিচয় ও বিশ্বাসভিত্তিক প্রদর্শনের নীতি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করার কারণে নদিম নামে একজন কাপড় ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ ওই ভিডিওকে ‘আপত্তিকর’ বলে অভিহিত করেছে। নদিমের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৩, ১৯২ ও ১৫২ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে, যেগুলো যথাক্রমে জনবিক্ষোভ সৃষ্টি, দাঙ্গার উদ্দেশ্যে প্ররোচনা এবং ভারতের ঐক্য ও অখণ্ডতা বিপন্ন করার অভিযোগের সঙ্গে সম্পর্কিত।
পুলিশ সুপার আদিত্য বানসাল বলেন, “কয়েক দিন আগে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছিল, যার উদ্দেশ্য ছিল মানুষকে উসকানো। এটি ছিল একটি আপত্তিকর ও বিতর্কিত ভিডিও।”
একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে মীরাট জেলার মাওয়ানা এলাকায়। সেখান থেকে ইদ্রিস, তাসলিম, গুলফাম ও রিহান নামে চারজনকে এক সিগন্যালের কাছে পোস্টার প্রদর্শনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মীরাটের খিরওয়া শহরে নাফিস, আবিদ ও মোহাম্মাদ লুকমান নামে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা একটি অডিও বার্তা শেয়ার করেছিলেন, যা পুলিশের দাবি অনুযায়ী ‘জনতাকে উসকাতে পারে’।
সূত্র: মুসলিম মিরর