ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর পদত্যাগ করার পরিকল্পনা করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, ড. মুহাম্মাদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বারা তিনি অপমানিত বোধ করছেন।
তার অভিযোগ, মুহাম্মাদ ইউনূস প্রায় সাত মাস ধরে তার সঙ্গে দেখা করেননি, রাষ্ট্রপতির প্রেস বিভাগ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের দূতাবাস থেকে তার প্রতিকৃতি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকায় নিজের বাসভবন থেকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রেসিডেন্টের ছবি সব কনস্যুলেট, দূতাবাস ও হাইকমিশনে ছিল, আর এক রাতে হঠাৎ তা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এতে জনগণের কাছে ভুল বার্তা যায় যে হয়তো প্রেসিডেন্টকে সরিয়ে দেওয়া হবে। আমি খুবই অপমানিত বোধ করেছি।
তিনি বলেন, আমি চলে যেতে আগ্রহী। আমি বেরিয়ে যেতে চাই। নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আমি থাকব। আমি সাংবিধানিকভাবে নির্ধারিত রাষ্ট্রপতির পদ ধরে রেখেছি।
তিনি আরও বলেন, প্রতিকৃতি (ছবি) নিয়ে ড. ইউনূসকে লিখেছেন, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, আমার কণ্ঠরোধ করা হয়েছে।
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন বলেও রয়টার্সকে জানিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-জনতার তীব্র গণআন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ২০২৩ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন ৭৫ বছর বয়সী সাহাবুদ্দিন। কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না দলটি।









