গাজ্জায় অবরোধ ভাঙ্গতে তিউনিসিয়া থেকে এগিয়ে আসতে থাকা ‘কাফেলাতুস সুমুদকে’ বিদেশী জিহাদীদের কাফেলা আখ্যা দিয়েছে অঞ্চলটিতে গণহত্যা চালিয়ে যাওয়া বিশ্ব মানবতার শত্রু ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) মিডল ইস্ট মনিটরের খবরে একথা জানানো হয়।
খবরে বলা হয়, ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ গাজ্জা অবরোধ ভাঙ্গতে এগিয়ে আসতে থাকা ফিলিস্তিনপন্থী কাফেলাতুস সুমুদকে বিদেশী জিহাদীদের কাফেলা আখ্যা দিয়ে ইসরাইলী সেনাবাহিনীকে তা প্রতিরোধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। যে কোনো মূল্যে কাফেলাটিকে সীমান্তে প্রবেশ থেকে বিরত রাখতে সেনাদের কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন।
এছাড়া মিশরের সরকারও তাদের কাফেলাটিকে মিশর-ইসরাইল সীমান্তে পৌঁছাতে দেবে না বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা আশাকরি মিশর কাফেলাটিকে যে কোনো ধরনের উসকানি এবং গাজ্জায় প্রবেশের চেষ্টা থেকে বিরত রাখা নিশ্চিত করবে। কেননা তা ইসরাইলের জন্য হুমকিস্বরূপ এবং ইসরাইলী সেনাদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠবে।
তিনি আরো দাবী করেন, জিহাদি কাফেলাটি ও এর বিক্ষোভকারীরা মিশর ও মধ্যপ্রাচ্যের সকল আরব শাসকদের জন্যও হুমকি। এছাড়া গোষ্ঠীটি হামাসের মতোই ইহুদিবিদ্বেষী মনোভাব পোষণ করে এবং ইরান নেতৃত্বাধীন অশুভ জোটের সহায়তায় গোটা অঞ্চলে কট্টর ইসলামি মতবাদ চাপিয়ে দিতে চায়।
সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, গাজ্জায় ভয়ংকর অস্ত্রশস্ত্রের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি নিধনে সর্বাত্মক অবরোধকেও গণহত্যার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে যাচ্ছে ইসরাইল। যার ফলে গর্ভবতী নারী, ছোট ছোট শিশু ও বৃদ্ধ সহ হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নির্মমভাবে মৃত্যুবরণ করছে।
এই অবরোধ ভাঙ্গতে গত সোমবার তিউনিসিয়া থেকে কাফেলাতুস সুমুদ নামে একটি মানবিক সহায়তাবাহী কাফেলা যাত্রা শুরু করে। কাফেলায় মৌরিতানিয়া, মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া এবং লিবিয়া সহ মোট ৩২টি দেশের ৭ হাজার লোকের অংশগ্রহণ ঘটে।
তিউনিসিয়া থেকে যাত্রা শুরু করা ৩০০ গাড়ির কাফেলাটি গাজ্জায় পৌঁছার উদ্দেশ্যে বর্তমানে মিশরে প্রবেশ করেছে।