বুধবার | ২৯ অক্টোবর | ২০২৫

গাজ্জায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরাইলে ২০ হাজার শ্রমিক পাঠিয়েছে ভারত

গাজ্জায় ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের আগ্রাসন শুরু হওয়া পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরাইলে ২০ হাজার শ্রমিক পাঠিয়েছে ভারত। মূলত ইসরাইলের স্থবির অর্থনীতি বাঁচাতে এদেরকে পাঠানো হয়েছে।

রোববার (১০ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই।

গত সপ্তাহে সংসদে এক আইনপ্রণেতার প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কির্তি বর্ধন সিং জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত অন্তত ২০,০০০ শ্রমিক ইসরাইলে গেছেন।

২০২৩ সালে ভারত ও ইসরাইলের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক শ্রমচুক্তি স্বাক্ষর হয়। যার আওতায় ইতোমধ্যেই বিপুলসংখ্যক ভারতীয় কর্মী দেশটিতে পাড়ি জমিয়েছেন। এখন পর্যন্ত ৬,৭৩০ জন নির্মাণশ্রমিক ও ৪৪ জন পরিচর্যাকারী ইসরাইলে পৌঁছেছেন।

এছাড়াও, প্রাইভেট চ্যানেলের মাধ্যমে পরিচর্যা খাতে আরও ৭,০০০ জন এবং নির্মাণশ্রমিক হিসাবে আরও ৬,৪০০ জন গিয়েছেন। এর আগেও বেশ কয়েক বছর ধরেই হাজার হাজার ভারতীয় পরিচর্যাকারী, হীরা ব্যবসায়ী এবং আইটি পেশাজীবী হিসাবে ইসরাইলে গেছেন। এটি প্রমাণ করে, গাজ্জায় চলমান যুদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্রমবর্ধমান বিচ্ছিন্নতার মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও ইসরাইলের অর্থনীতিকে সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে নয়াদিল্লি।

দীর্ঘদিনের যুদ্ধে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ইসরাইলের অর্থনীতি। ৭০,০০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনির কাজের অনুমতি বাতিল করায় বিভিন্ন খাতে শ্রমিক সংকটও তৈরি হয়েছে ইসরাইলে। ফলে নির্মাণ খাত স্থবির হয়ে পড়েছে। শ্রমিক সংকট মোকাবিলায় ২০২৩ সালের নভেম্বরে ইসরাইল বিল্ডার্স অ্যাসোসিয়েশন ভারত থেকে শ্রমিক আনার আহবান জানায়। আগে ইসরাইল ফিলিস্তিন ও অন্য দেশের অভিবাসী শ্রমিকদের ওপর নির্ভর করত। কিন্তু রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ফিলিস্তিনিদের কাজের অনুমতি বাতিল করে দেয় দেশটি। তবে ভারত জানিয়েছে, ইসরাইলে শ্রমিকদের হাতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।

সরকারের তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালের মার্চে ইসরাইল-লেবানন সংঘাতে এক কৃষিশ্রমিক নিহত হয়েছেন। এছাড়া গাজা যুদ্ধের সময়কালে আরও তিন শ্রমিক আহত হয়েছেন।

spot_img

সর্বশেষ

spot_img

এই বিভাগের

spot_img