শুক্রবার, মে ৯, ২০২৫

কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে ভারতীয় সেনা নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে

spot_imgspot_img

জম্মু-কাশ্মীরে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিবর্ষণে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর চার সদস্যসহ ১০ জন নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার পাকিস্তানি বাহিনী যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলিবর্ষণ করলে সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিরা নিহত হন।

নিহত জওয়ানদের মধ্যে রাকেশ ডোভাল নামে বিএসএফের এক উপ-পরিদর্শক ও সেনাবাহিনীর তিন সদস্য রয়েছেন। খবর পার্সটুডে’র।

অন্যদিকে, এক নারীসহ ৬ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর গুরেজ ও উরি সেক্টরে পাকিস্তানি সেনারা গুলিবর্ষণ করে।

ভারতীয় সেনা জওয়ানরা এ সময়ে পাল্টা গুলিবর্ষণের মধ্যদিয়ে কঠোর ও কার্যকরভাবে তার জবাব দিয়েছে বলে সেনা মুখপাত্র কর্নেল রাজেশ কালিয়া দাবি করেছেন।

সীমান্তে দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে পাল্টাপাল্টি গুলিবর্ষণের মধ্যে সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় কয়েকজন বেসামরিক ব্যক্তি হতাহত হয়েছেন।

কর্মকর্তা সূত্রে প্রকাশ, আজ বারামুল্লা জেলার নাম্বলা সেক্টরে পাকিস্তানি বাহিনী ছোট অস্ত্রের সাহায্যে গুলিবর্ষণের পাশপাশি মর্টার হামলা চালায়। এসময়ে দুই সেনা জওয়ান নিহত হন। হাজী পীর সেক্টরে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিবর্ষণে নিহত হন বিএসএফের এক কর্মকর্তা। বারামুল্লা জেলার কামালকোট সেক্টরে উরি এলাকায় দুই বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হন। এছাড়া, অপর সেনা প্রাণ হারান গুরেজ সেক্টরে।

গণমাধ্যমের একটি সূত্রে প্রকাশ, তংধারে ভারী গুলিবর্ষণের ফলে ওই এলাকার বেসামরিক মানুষজন বাঙ্কারে লুকিয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। তংধারের মূল বাজার পর্যন্ত গুলিবর্ষণের রেঞ্জ বাড়তে পারে এমন আশঙ্কায় মানুষজনকে সেখান থেকে নিরাপদ জায়গায় স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে খবর, কামালকোট সেক্টরের চুরান্দা, সিলিকোট, গরকোট, হাতলাঙ্গা, নাম্বলা ও রুস্তম মহল্লায় ভারী গোলাগুলিবর্ষণ শুরু করে পাক বাহিনী।

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img