যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের মন্ত্রীসভা পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সোমবার জানিয়েছে, ব্রিট্রেনের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউজ অব লর্ডস-এ ক্যামরনের মনোনয়ন অনুমোদন দিয়েছেন রাজা চার্লস। এর মাধ্যমে পার্লামেন্টের নির্বাচিত সদস্য না হয়েও একজন মন্ত্রী হিসেবে সরকারের ফেরার পথ উন্মুক্ত হয়।
৫৭ বছর বয়সী ডেভিড ক্যামরন ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ব্রেক্সিটের গণভোটের ফল প্রকাশের পর তিনি পদত্যাগ করেছিলেন। গণভোটে ব্রিটিশরা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হওয়ার পক্ষে সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন।
সোমবার কট্টর ফিলিস্তিন বিরোধী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্র্যাভারম্যানকে বরখাস্ত করেন ঋষি সুনাক। তার স্থলাভিষিক্ত হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লিভারলি। আর জেমস ক্লিভারলির স্থানে মনোনীত হলেন ডেভিড ক্যামেরন।
গত সপ্তাহে লন্ডনে গাজ্জায় ইসরাইলী হামলা বন্ধে বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের কর্মকাণ্ড নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন কট্টর ইসরাইলপন্থী সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান। এর মধ্য দিয়ে ঋষি সুনাকের কর্তৃত্বকে অস্বীকার করেন তিনি।
ফিলিস্তিনপন্থিদের বিক্ষোভ নিয়ে ব্র্যাভারম্যানের অবস্থান চলমান উত্তেজনা আরও বাড়িয়েছে। মূলত এরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য চাপে পড়েন সুনাক।
উল্লেখ্য, ইসরাইল-হামাস সংঘাত নিয়ে শনিবার (১১ নভেম্বর) লন্ডনের রাস্তায় ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করেন তিন লাখেরও বেশি মানুষ। সেখানে উগ্রপন্থীরা অতর্কিত হামলা চালায়। পরবর্তীতে শতাধিক উগ্রপন্থীদের গ্রেফতার করে লন্ডন পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের থামাতে অপর একদল বিক্ষোভকারী মিছিলে অতর্কিত হামলা চালানোয় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
পরে এ হামলার নিন্দা জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান ফিলিস্তিনিদের পক্ষে লাখো জনতার এ বিক্ষোভ সমাবেশকে আখ্যায়িত করেন ‘ঘৃণা সমাবেশ’ হিসেবে। এমনকি ফিলিস্তিনপন্থিদের বিক্ষোভ বন্ধ করে দিতে লন্ডন পুলিশকে অনুরোধও জানিয়েছিলেন তিনি।











