ইমারাতে ইসলামীয়া আফগানিস্তানের লৌহ খাতে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে ইরান। যা উভয় দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য একটি কৌশলগত সুযোগ।
সোমবার (১২ মে) এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় ফার্স নিউজ এজেন্সি।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বিনিয়োগ বিশ্বব্যাপী ইস্পাত উৎপাদনের র্যাঙ্কিংয়ে ইরানের অবস্থান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। আফগানিস্তান থেকে প্রতি টন ১০০ ডলারে লৌহ আকরিক আমদানি করে এবং এটিকে প্রতি টন ৬০০ ডলার বাজার মূল্যের ইস্পাতে প্রক্রিয়াজাত করে, ইরান তার বিনিয়োগের ছয় গুণ লাভ অর্জনের লক্ষ্য নিয়েছে।
কাবুলে ইরানের রাষ্ট্রদূত আলিরেজা বিকদেলি আফগানিস্তানের বিশাল খনিজ সম্পদকে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য একটি “কৌশলগত সুযোগ” হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আফগানিস্তানের খনি মন্ত্রণালয়ের মতে, ইরান সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটির খনি খাতে প্রায় ২.৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। দুই দেশের মধ্যে নতুন চুক্তিতে লৌহ আকরিক নিষ্কাশনের জন্য পাঁচ বছরের সহযোগিতা চুক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যার মাধ্যমে ইরানের জন্য বার্ষিক ১.২ বিলিয়ন ডলারের বেশি মুনাফার প্রকল্প করা হয়েছে।
ইরানীয় সংবাদমাধ্যম আইএমএনএ উল্লেখ করেছে, আফগানিস্তান থেকে কম খরচে কাঁচামালের প্রাপ্তি ইরানের এশিয়ার ইস্পাত উৎপাদন বাজারে অংশীদারিত্ব ২০% বৃদ্ধি করতে পারে, যা সম্ভবত এর বৈশ্বিক র্যাঙ্কিং দশম থেকে ষষ্ঠ স্থানে উন্নীত করবে। চীন এবং রাশিয়ার পাশাপাশি, ইরান আফগানিস্তানের অব্যবহৃত খনি সম্ভাবনার প্রতি ক্রমবর্ধমান আগ্রহ দেখাচ্ছে।
গত তিন বছরে, ইরান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে। আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য ও পরিবহন সম্পর্ক হ্রাস পাওয়া এবং তেহরানের কৌশলগত প্রচেষ্টার ফলে ইরান ও আফগানিস্তানের মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
ইরান তার সীমান্তবর্তী প্রদেশগুলোকে আফগানিস্তানের সংলগ্ন প্রদেশগুলোর সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সুযোগগুলো পুরোপুরি কাজে লাগানোর অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্যে ফারাহ প্রদেশে একটি নতুন কনস্যুলেট খোলার উদ্যোগও রয়েছে, যা আফগানিস্তানের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ইরানের ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততাকে প্রতিফলিত করে।
সূত্র: কেপি