পাঠ্যক্রম, শিক্ষানীতি, শিক্ষা ব্যবস্থাপনা, উচ্চশিক্ষা, মাদ্রাসা শিক্ষা, দক্ষতা, মূল্যায়ন, শিক্ষক প্রশিক্ষণ এবং বিবিধ বিষয়ে মোট ৩০ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম এই প্রস্তাবনা পেশ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “অভ্যুত্থানের এক বছর অতিক্রম করে আমরা দ্বিতীয় বর্ষে পদার্পণ করেছি। জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করতে ফ্যাসিবাদী সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যবস্থা পরিবর্তনের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হিসেবে শিক্ষাব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণ, কল্যাণমুখী ও সামাজিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে পুনর্গঠন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, শিক্ষা সংস্কারের বিষয়ে বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি বা ঘোষণা আমরা দেখতে পাচ্ছি না। সমৃদ্ধ জাতি গঠনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রটি বরাবরের মতোই উপেক্ষিত হচ্ছে, যা হতাশাজনক। ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে শিক্ষা সংস্কারের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা পেশ ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাতে আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। আপনাদের আন্তরিক উপস্থিতির জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি
তিনি আরও বলেন, ১৯৪৭ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত আধিপত্যবাদ, জুলুম ও ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে যারা জীবন দিয়েছেন, জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, বিশেষ করে জুলাই অভ্যুত্থানে যারা জীবন ও রক্ত দিয়ে আমাদের নতুন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন, তাদের সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁদের ত্যাগকে কবুল করুন। আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারীদে দ্রুত সুস্থতা দান করুন। আমীন।
সংস্কার প্রস্তাবনা–০১ : অন্তর্ভূক্তিমূলক শিক্ষা কমিশন গঠন
সংস্কার প্রস্তাবনা–০২ : জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্তকরণ
সংস্কার প্রস্তাবনা–০৩ : ইসলামী মূল্যবোধ ও নৈতিকতার সমন্বয়ে আধুনিক শিক্ষাক্রম প্রণয়ন
সংস্কার প্রস্তাবনা—০৪ : বহুমাত্রিক মূল্যবোধের বিকাশ
সংস্কার প্রস্তাবনা–০৫ : বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত শিক্ষায় (STEM) অগ্রাধিকার প্রদান
সংস্কার প্রস্তাবনা–০৬ : ভাষা শিক্ষা সংক্রান্ত
সংস্কার প্রস্তাবনা–০৭ : সামরিক ও শারীরিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণ
সংস্কার প্রস্তাবনা–০৮ : শিক্ষা বাজেট অগ্রাধিকার
সংস্কার প্রস্তাবনা–০৯ : শিশুদের জন্য আনন্দায়ক স্কুলিং পদক্ষেপ
সংস্কার প্রস্তাবনা–১০ : উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত বাধ্যতামূলক ও অবৈতনিক শিক্ষা আইন প্রণয়ন
সংস্কার প্রস্তাবনা–১১ : স্বাধীন ও স্বতন্ত্র নিয়োগ কমিশন গঠন
সংস্কার প্রস্তাবনা–১২ : নারী শিক্ষার প্রসারে উপর্যুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতকরণ
সংস্কার প্রস্তাবনা–১৩ : শিক্ষা আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন
সংস্কার প্রস্তাবনা–১৪ : শিক্ষার্থীদের জন্য শতভাগ আবাসন নিশ্চিত ও ব্যবস্থাপনায় আধুনিকীকরণ
সংস্কার প্রস্তাবনা–১৫ : মানসিক স্বাস্থ্য সেবা ও কাউন্সেলিং ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ
সংস্কার প্রস্তাবনা–১৬ : শিক্ষার্থী বান্ধব শিক্ষাঙ্গন বাস্তবায়ন
সংস্কার প্রস্তাবনা–১৭ : যোগ্য ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদ গঠন
সংস্কার প্রস্তাবনা–১৮ : গবেষণামুখী উচ্চশিক্ষা
সংস্কার প্রস্তাবনা–১৯ : মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা সংক্রান্ত
সংস্কার প্রস্তাবনা–২০ : কারিগরি শিক্ষার মান বৃদ্ধি
সংস্কার প্রস্তাবনা–২১ : মূল্যায়ন পদ্ধতির সংস্কার
সংস্কার প্রস্তাবনা–২২ : শিক্ষক প্রশিক্ষণ কাঠামোর আধুনিকায়ন
সংস্কার প্রস্তাবনা–২৩ : শিক্ষক মূল্যায়নের কার্যকর পদ্ধতি প্রবর্তন
সংস্কার প্রস্তাবনা–২৪ : চাকরিতে সমান সুযোগ ও ন্যায়ভিত্তিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিতকরণ
সংস্কার প্রস্তাবনা–২৫ : ছাত্ররাজনীতির যথাযথ চর্চা ও নিয়মিত ছাত্রসংসদ নির্বাচন আয়োজন
সংস্কার প্রস্তাবনা–২৬ : বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা নিশ্চিতকরণ
সংস্কার প্রস্তাবনা–২৭ : পথশিশু ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মূলধারার শিক্ষায় অন্তর্ভুক্তকরণ
সংস্কার প্রস্তাবনা–২৮ : কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে বেকারত্ব হ্রাস
সংস্কার প্রস্তাবনা–২৯ : উপজাতি ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার উন্নয়ন ও সমান অধিকার নিশ্চিতকরণ
সংস্কার প্রস্তাবনা–৩০ : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অভিভাবক-অংশগ্রহণ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ









