ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি বলেন, “দখলদার ইহুদিবাদীরা আমাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা চালিয়ে আন্তর্জাতিক লাল সীমা অতিক্রম করেছে। ইসরাইলের বিরুদ্ধে আমাদের জবাব আন্তর্জাতিক আইনের আলোকে বৈধ অধিকার, এবং আমাদের হামলা অব্যাহত থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “উপসাগরীয় অঞ্চলে যেকোনো সামরিক উত্তেজনা পুরো অঞ্চল এবং বিশ্বকে জ্বালিয়ে দিতে পারে। আমরা আশা করি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আমাদের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার তীব্র নিন্দা জানাবে।”
আরাকচি বলেন, “আত্মরক্ষার আইনের আওতায় আমরা দখলদার ইসরাইলি আগ্রাসনের জবাব দিয়েছি। উপসাগরীয় অঞ্চলে সংঘর্ষ বিস্তৃত করা একটি ভয়ানক কৌশলগত ভুল, যার উদ্দেশ্য পুরো অঞ্চলজুড়ে যুদ্ধ ছড়িয়ে দেওয়া।”
তিনি জানান, “আমরা আমাদের আক্রমণ কেন্দ্রীভূত করেছি দখলদার ইসরাইলের অভ্যন্তরের লক্ষ্যবস্তুতে, এবং আমরা যুদ্ধ বিস্তৃত করতে চাই না, যতক্ষণ না তা আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। আমরা আশা করি আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা আমাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানাবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের প্রতিরক্ষা হলো সেই আগ্রাসনের জবাব, যা আমাদের ওপর চালানো হয়েছে। আমরা তখনই থামব, যখন আমাদের ওপর হামলা থেমে যাবে। যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার অংশীদার, এবং তাদের নিজেদের কর্মকাণ্ডের দায় নিতে হবে।”
আরাকচি অভিযোগ করেন, “এই অপারেশনগুলো ওয়াশিংটনের সমর্থন ছাড়া সম্ভব নয়। আমাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে যে, এই অঞ্চলে মার্কিন বাহিনী ইসরাইলকে সহায়তা করেছে।”
তিনি বলেন, “আমরা এমন কোনো চুক্তির জন্য প্রস্তুত নই, যা আমাদের পারমাণবিক অধিকার কেড়ে নেয়। দখলদার ইহুদিবাদীরা চায় না যে, কোনো পারমাণবিক চুক্তি হোক বা কূটনৈতিক সমাধান আসুক।”
আরাকচি জানান, “২০২১ সালে আমরা পারমাণবিক চুক্তি পুনর্জীবিত করতে আলোচনা করছিলাম, আর তখনই ইসরাইল নতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনায় নাশকতা চালায়। বর্তমানে তারা আবারও নতাঞ্জে হামলা চালিয়েছে, যার উদ্দেশ্য হলো আলোচনায় বিঘ্ন সৃষ্টি করা, এবং এই কাজেও যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা করেছে।”
শেষে তিনি বলেন, “আমরা আশা করি, যুক্তরাষ্ট্র সদিচ্ছা প্রমাণ করবে এবং ইসরাইলের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর চালানো হামলার নিন্দা জানাবে।”
সূত্র : আল জাজিরা
