সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমাদ হুসাইন আল-শারাআ আল-জুলানী দোহায় অনুষ্ঠিত আরব–ইসলামিক জরুরি সম্মেলনে দৃঢ় কণ্ঠে ঘোষণা করেছেন, ইসরাইলি আগ্রাসনের মুখে সিরিয়া কাতারের পাশে রয়েছে। তিনি বলেন, একটি জাতির শক্তি আসে তার ঐক্য থেকে, আর বিভক্তি সেই জাতিকে দুর্বল করে দেয়।
প্রেসিডেন্ট আল-শারাআ বলেন, “এটি ইতিহাসের বিরলতম ঘটনার একটি, আলোচককে হত্যা করা হয়েছে, আর নজিরবিহীনভাবে মধ্যস্থতাকারীকেই লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে। একই সময়ে ইসরাইলের গাজ্জায় আগ্রাসন অব্যাহত আছে, এবং টানা নয় মাস ধরে তারা সিরিয়ার বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।”
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা ও আরব লীগের যৌথ জরুরি সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
প্রেসিডেন্ট আল-শারাআ আরও বলেন, “কোনো জাতি যখন ঐক্যবদ্ধ হয় এবং বিভেদ দূর করে একত্রিত হয়, তখন তার শক্তি বেড়ে যায়। কিন্তু যখন জাতি বিভক্ত হয়, তখনই তার দুর্বলতা শুরু হয়।”
তিনি এ সময় একজন কবির পঙক্তি উদ্ধৃত করেন, “যখন জ্ঞানী হৃদয়, ধারালো তরবারি আর আত্মমর্যাদা রক্ষার সাহস একত্র হয়, অন্যায় সরে যায়।”
তিনি আরও বলেন, “আমি এবং সিরিয়ার পুরো জনগণ কাতারের প্রতি আমাদের সমর্থন জানাই এবং তাদের ন্যায়সঙ্গত অবস্থানের প্রতি সমর্থন জানিয়ে কাতারের পাশে দাঁড়াই।”
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানির আমন্ত্রণে সম্মেলনে আরও অংশ নেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ মানসুর বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম, ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, কুয়েতের ক্রাউন প্রিন্স শেখ সাবাহ খালেদ আল-হামাদ আল-সাবাহ, বাহরাইনের রাজার ব্যক্তিগত প্রতিনিধি শেখ আবদুল্লাহ বিন হামাদ আল খলিফা, ওমানের উপপ্রধানমন্ত্রী (প্রতিরক্ষা) সাইয়্যিদ শিহাব বিন তারিক আল সাঈদ, জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহ দ্বিতীয়, মরক্কোর রাজা-প্রতিনিধি প্রিন্স মুলাই রাশিদ, সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মোহামুদ, ইয়েমেনের প্রেসিডেন্টিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রাশাদ মোহাম্মদ আল-আলিমি, সুদানের ট্রানজিশনাল সার্বভৌম কাউন্সিলের প্রধান জেনারেল আব্দেল ফাত্তাহ আল-বুরাহান।
সূত্র : সানা