বুধবার | ২৯ অক্টোবর | ২০২৫

ভারতে হিন্দুত্ববাদীদের উগ্রতা প্রতিনিয়ত বাড়ছে; গীর্জায় ঢুকে ভাঙচুর ও প্রার্থনারতদের উপর হামলা

ভারতে হিন্দুত্ববাদীদের উগ্রতা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। ছত্তিশগড়ের রায়পুরে গীর্জায় ঢুকে ভাঙচুর ও প্রার্থনারত খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (১৬ আগস্ট) মুসলিম মিররের এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, উগ্র হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) ও বজরং দলের লোকজন রায়পুরের একটি গীর্জায় ঢুকে প্রার্থনারত খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের উপর হামলা ও গীর্জা ভাঙচুর চালিয়েছে।

এছাড়াও বলা হয়, হামলার পাশাপাশি খ্রিস্টধর্ম ত্যাগের জন্য তারা উপাসকদের বিভিন্ন ধরণের হুমকি দিতে থাকে। চিরায়ত উগ্রতার বহি:প্রকাশ স্বরূপ জয়শ্রী রাম স্লোগান দিতে থাকে। হনুমান চল্লিশাও পাঠ করতে থাকে।

সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, বছরের পর বছর ধরে ছত্তিশগড়ে খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক অপরাধের একই রকম ঘটনা ঘটে আসছে। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকজন জানায়, এই ধরণের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে তারা বিস্ময়করভাবে প্রত্যক্ষ করে আসছেন যে পুলিশ ব্যর্থ হচ্ছে। যা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হৃদয়ে আতঙ্ককে আরো বাড়িয়ে তুলেছে। এমনকি এবারের ঘটনায়ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়।

উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর লোকজন ভারত জুড়ে বেশ কয়েকটি জায়গায় ধর্মীয় স্থাপনায় ও অন্য সম্প্রদায়ের লোকজনের উপর সম্প্রতি হামলা চালিয়েছে। সংখ্যালঘুদের উপর হামলাকে বৈধতা দিতে কোনো প্রমাণ ছাড়াই খ্রিস্টান এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে হিন্দুদেরকে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ আনছে।

এই উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো মুসলিম, দলিত এবং আদিবাসীদের উপর সাধারণ ও প্রাণঘাতী আক্রমণ এবং গণপিটুনি অব্যাহত রেখেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যে, গেরুয়া পোশাক পরিহিত লোকজন লাঠি ও রড হাতে ধর্মীয় সহ বিভিন্ন স্থানে ঢুকে পড়ে। গরুর মাংস রাখার কিংবা খাওয়ার ও হিন্দুদের জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ এনে সংখ্যালঘুদের মারধর করতে থাকে। তাদের টার্গেটকৃত সংখ্যালঘু যদি মুসলিম হয়, তবে বিভিন্ন ধরণের জিহাদের অভিযোগও আরোপ করা হয়।

spot_img

সর্বশেষ

spot_img

এই বিভাগের

spot_img