বুধবার | ১৭ সেপ্টেম্বর | ২০২৫

ব্রিটিশ বিরো’ধী আন্দো’লনে আলেমদের ভূমিকা ইতিহাসের স্বর্ণজ্জ্বল অধ্যায়: মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেছেন, “ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে উলামায়ে কেরামদের ভূমিকা ইতিহাসের পাতায় অম্লান হয়ে থাকবে। পাকিস্তানের ২৩ বছরের শোষণের নাগপাশ থেকে জাতিকে মুক্তির জন্য যদি স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়; তবে এর চেয়েও বড় আজাদী হলো ব্রিটিশদের প্রায় দুইশ বছরের পরাধীনতা থেকে মুক্তি। অথচ এর কোনো দিবস নেই কেন?”

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত ‘বৃিটিশ বিরোধী আন্দোলন ও খেলাফত আন্দোলনের সংগ্রামী নেতা কর্মবীর মাওলানা আব্দুর রহমান সিংকাপনী’ জীবনীগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক আরও বলেন, “মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা হোসাইন আহমদ মদনী, শাব্বির আহমদ ওসমানীসহ মুসলিম-হিন্দু নেতারা একত্রিত হয়ে আজাদী আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। পাকিস্তানের ২৩ বছরের মুক্তিকে আমরা স্বাধীনতা বলি, অথচ ১৯০ বছরের আজাদীর কোনো স্বীকৃতি নেই। ব্রিটিশদের থেকে স্বাধীন না হলে আওয়ামী লীগ বা বিএনপি কেউ রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে পারত না; এমনকি আজকের লিবারেল শিক্ষাও সম্ভব হতো না।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাসিক মদিনা সম্পাদক মাওলানা আহমদ বদর উদ্দিন, জমিয়তের সহকারী মহাসচিব মাওলানা জয়নাল আবেদীন, প্রচার সম্পাদক মুফতী ইমরানুল বারী সিরাজী, মারকাজুল কুরআন মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা ইমদাদুল্লাহ, অধ্যাপক মাওলানা মহোব্বত হোসেন, ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র সহ-সভাপতি পীরজাদা সৈয়দ মো. আহসান, সিলেট রত্ন ফাউন্ডেশনের মহাসচিব টি. এইচ. জাহাঙ্গীর, এনসিপি সংগঠক মাওলানা সানাউল্লাহ খান, সাংবাদিক আব্দুল মুজিব রুকন, ব্যারিস্টার মুজাক্কির হোসেন, অ্যাডভোকেট সৈয়দ ইশতিয়াক জাকেরীন প্রমুখ।

spot_img
spot_img

এই বিভাগের

spot_img