শুক্রবার, মে ৯, ২০২৫

মানসিক যন্ত্রণা ও পুনরায় গাজ্জা গণহত্যায় না ফিরতে আরেক ইসরাইলী সেনার আত্মহত্যা

spot_imgspot_img

মানসিক যন্ত্রণা ও পুনরায় গাজ্জা গণহত্যায় না ফিরতে প্রকাশ্যে আত্মহত্যা করলো আরেক ইসরাইলী সেনা।

ইসরাইলী পত্রিকা হাদাশোত বিজমানের এক খবরে বলা হয়, ১৭ জুন ইসরাইল প্রতিরক্ষা বাহিনীর রিজার্ভ ফোর্সের ২১ বছর বয়সী এক সেনা প্রকাশ্যে আত্মহত্যা করেছে। সে ২দিন আগে গাজ্জা থেকে ফিরে এসেছিলো। মানসিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত ছিলো। অবৈধ ইয়াহুদা বসতির বাসিন্দা ছিলো সে।

ওয়াল্লা নামক এক ইসরাইলী সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, ১ সপ্তাহ পূর্বেও একই ধরণের ঘটনা ঘটে। এলিরান মিজরাহ নামক এক রিজার্ভ সেনা সদস্য গাজ্জা থেকে ফিরে এসে মানসিক যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে আত্মহত্যা করে। সে গাজ্জায় ইসরাইলী বাহিনীর এক্সকেভেটর ড্রাইভার হিসেবে ৭৮ দিন দায়িত্ব পালন করে পোস্ট-ট্রোমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডারে ভুগছিলো।

সংবাদমাধ্যমের খবরে আরো বলা হয়, গাজ্জায় দায়িত্ব পালনের সময় তাকে বিকৃত মস্তিষ্কের ন্যায় ভয়াবহ অপরাধের ভিডিও প্রকাশ করতে দেখা যায়। যেখানে তাকে সবচেয়ে বেশি নৃশংসতা চালিয়েছে বলে বুনো উল্লাস করতে দেখা যায়। অপরাধযজ্ঞের পর গর্বভরে ও তুচ্ছতাচ্ছিল্য ভঙ্গিতে ছবি তুলতেও দেখা যায়।

ইসরাইলী দৈনিক হারেৎজের খবরে বলা হয়, গাজ্জায় ৭ অক্টোবর থেকে হামলা শুরুর পর থেকে ইসরাইলী সেনাদের মাঝে ভয়াবহ মাত্রায় অজানা মানসিক রোগ দেখা দেয়। ইসরাইলী বিশেষজ্ঞগণ যাকে প্রাথমিকভাবে পোস্ট-ট্রোমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার বলে চিহ্নিত করেছেন। তবে এই ডিসঅর্ডারের সাথে সেনাদের মাঝে খুঁজে পাওয়া ডিসঅর্ডারের কোনো মিল নেই বলেও গোপন সূত্রে জানা গিয়েছে। তারা এর ধরণ, প্রকৃতি ও সমাধান খুঁজে পেতে এখনো গবেষণা অব্যাহত রেখেছেন। হাজার হাজার আইডিএফ সেনাদের চিকিৎসা নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তাদের প্রায় সকলেই আত্মহত্যার জন্য কাতরাচ্ছে। যাদের যন্ত্রণার মাত্রা স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে এসেছে তারা আবার গাজ্জা যুদ্ধে না পাঠাতে আত্মহত্যার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন!

উল্লেখ্য, ইসরাইলী বাহিনীর এক্সকেভেটর ড্রাইভাররা সাধারণত মাইনিংয়ের জন্য, পুতে রাখা বোমা তোলার জন্য, টানেল আবিস্কারের জন্য বড় বড় খননকারী গাড়ি চালিয়ে থাকেন। ধারণা করা হচ্ছে গাজ্জায় ফিলিস্তিনিদের জীবিত পুঁতে হত্যার সাথে তিনি জড়িত ছিলেন। কেননা গত কয়েক মাসে গাজ্জার বিভিন্ন মেডিকেল এরিয়া ও শরণার্থী এলাকায় বড় বড় গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায়। স্বাভাবিকের তুলনায় মাটির অনেক গভীরে এসব গণকবরের সন্ধান পায় ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট। রেড ক্রিসেন্ট ও গাজ্জা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞগণের পরীক্ষানিরীক্ষার পর অধিকাংশ লাশ জীবিত দাফনের বিষয়টি বিশ্বের সামনে উঠে আসে। এছাড়া অত্যাধুনিক পচন প্রক্রিয়া প্রয়োগেরও আলামত পায় বিশেষজ্ঞগণ, যা বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় তুলে। উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।

সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img