বুধবার, জুন ১৮, ২০২৫

বিপর্যয়ের মুখে গাজ্জার চিকিৎসাব্যবস্থা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

spot_imgspot_img

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গাজ্জা উপত্যকার হাসপাতালগুলো জ্বালানির সংকটে চূড়ান্ত বিপর্যয়ের মুখে আছে। অবিলম্বে সেখানে জ্বালানি প্রবেশের অনুমতি না দেওয়া হলে স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়বে।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, গাজ্জায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নেই। তাই জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জ্বালানি অপরিহার্য। এএফপি ও বাসস এ তথ্য দিয়েছে।

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি রিক পিপারকর্ন বলেন, ‘গত একশ দিনেরও বেশি সময় ধরে গাজ্জায় কোনো জ্বালানি প্রবেশ করেনি।’ এএফপি ও বাসস এ তথ্য দিয়েছে। জেরুজালেম থেকে ভার্চুয়াল ব্রিফিং এ যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘চরম সরবরাহ সংকট গাজ্জার স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়ার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, গাজ্জার মোট ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে মাত্র ১৭টি বর্তমানে সীমিত বা আংশিকভাবে কার্যকর রয়েছে। এসব হাসপাতালে এখন মাত্র দেড় হাজার শয্যা রয়েছে, যা সংঘাত শুরুর আগের তুলনায় প্রায় ৪৫ শতাংশ কম।

উত্তর গাজ্জার সব হাসপাতাল ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এখন সম্পূর্ণরূপে অকার্যকর। দক্ষিণ গাজ্জার রাফা এলাকায় বর্তমানে শুধু রেড ক্রসের একটি হাসপাতাল এবং দুটি আংশিকভাবে চালু চিকিৎসা কেন্দ্র থেকেই সীমিত পরিসরে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।

পিপারকর্ন আরও বলেন, ‘আংশিকভাবে চালু ১৭টি হাসপাতাল ও সাতটি ফিল্ড হাসপাতাল ন্যূনতম পরিমাণে জ্বালানি দিয়ে কোনোমতে চালু রাখা হয়েছে এবং খুব শিগগিরই তাদের মজুদ শেষ হয়ে যাবে।’

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘জ্বালানি ছাড়া স্বাস্থ্যসেবার সব পর্যায়ই বন্ধ হয়ে যাবে। যার ফলে আরও বহু প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু ও দুর্ভোগ দেখা দেবে।’ তিনি আরও জানান, ফিল্ড হাসপাতালগুলো সম্পূর্ণভাবে জেনারেটরের ওপর নির্ভরশীল এবং বিদ্যুৎ না থাকলে টিকা কার্যকর রাখতে নির্দিষ্ট তাপমাত্রা বজায় রাখা যাবে না।

গাজ্জার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত গাজ্জায় মোট ৫৫ হাজার ৪৯৩ জন নিহত হয়েছেন। যাদের বেশীরভাগ নারী ও শিশু।

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img