‘সিরিয়াকে ভাঙতে দেওয়া হবে না’ বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, ইসরাইল একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। দ্রুজ জনগোষ্ঠীকে অজুহাত বানিয়ে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে হামলা চালাচ্ছে রক্তপিপাসু ইসরাইল।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এরদোগান এসব কথা বলেন। খবর বার্তা সংস্থা আনাদোলুর।
তিনি বলেন, সিরিয়ার বিভাজন তুরস্ক কখনোই মেনে নেবে না। বুধবার যেমন আমরা সিরিয়ার বিভাজন বা টুকরো টুকরো হওয়ার বিরুদ্ধে ছিলাম, আজ ও আগামীকালও তেমনই থাকব। সিরিয়ার অখণ্ডতা রক্ষায় আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, গত দুদিন ধরে দ্রুজদের অজুহাতে দস্যুবৃত্তিকে সিরিয়ায় নিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল।
প্রেসিডেন্ট এরদোগানের মতে, যারা ইসরাইলের ওপর ভরসা করছে, তারা শিগগিরই বুঝবে তারা বড় ধরনের ভুল করেছে।
তিনি বলেন, ইসরাইল— আইনের তোয়াক্কা না করা, সীমাহীন উদ্ধত, নিয়ম ভঙ্গকারী, নীতিহীন, অহংকারী, লুণ্ঠনকারী, রক্তপিপাসু সন্ত্রাসী রাষ্ট্র।
এরদোগান বলেন, সিরিয়ার স্থিতিশীলতা শুধু সে দেশের জন্য নয়, বরং আশপাশের সব দেশের জন্যই শান্তি বয়ে আনবে। আর যদি তা না হয়, তাহলে সবাইকেই এর বোঝা টানতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যারা নিপীড়ন ও হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিরাপদ করতে চায়, তারা যেন এটা মনে রাখে— তারা এই ভূমিতে অতিথি, কিন্তু আমরা এ ভূমির প্রকৃত বাসিন্দা।
এরদোগান জানান, তুরস্ক সিরিয়ার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই চলবে।
প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, সিরিয়ার ভৌগোলিক অখণ্ডতা, জাতীয় ঐক্য, একক রাষ্ট্র কাঠামো এবং বহুসাংস্কৃতিক পরিচয় রক্ষা করাই তুরস্কের মূল নীতি।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, আমরা সম্মানজনক পররাষ্ট্রনীতি, শান্তিপূর্ণ উদ্যোগ ও কূটনৈতিক প্রয়াসের মাধ্যমে সবসময় শান্তির পক্ষে আছি। আমরা কারও বিরুদ্ধে বিদ্বেষ, ঈর্ষা বা শত্রুতা পোষণ করি না। কারও অধিকার, আইন বা সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করি না। আমরা শুধু শান্তি চাই।