ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের কারাগারে বন্দী ফিলিস্তিনি নেতা ও বিশিষ্টজনদের টার্গেট করে নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলে বিবৃতি দিয়েছে ফিলিস্তিন স্বাধীনতাকামী ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিন স্বাধীনতাকামী ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলী কারাগারে আটক ফিলিস্তিনি নেতা ও বিশিষ্টজনদের সরাসরি লক্ষ্য করে বিপজ্জনক কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে বলে সতর্ক করেছে।
বুধবার সংগঠনটির বন্দী বিষয়ক মিডিয়া অফিস থেকে এবিষয়ে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে অফিসটি জানায়, মনোবল ভেঙে দিতে ও অন্য বন্দীদের ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে শীর্ষস্থানীয় বন্দীদের উপর নির্মম নির্যাতন চালানো হচ্ছে। প্রতিনিয়ত নির্মমভাবে মারধর, শারীরিক ও মৌখিক নিপীড়ন, ইচ্ছাকৃতভাবে অনাহারে রাখা, তীব্র শীতের মধ্যে রাখা এবং শীতকালীন পোশাক ও কম্বল না দেওয়া এর অন্তর্ভুক্ত।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সম্প্রতি কারাগারের দমন ইউনিটগুলো বন্দী আবদুল্লাহ বারগুসী, বিলাল বারগুসী ও আ’হদু গিলমাহ সহ বেশ কয়েকজন প্রখ্যাত ফিলিস্তিনি নেতাকে কারাগারের আঙিনায় নিয়ে যায় এবং লাঠি দিয়ে এমনভাবে মারধর করে যে তারা রক্তাক্ত হয়ে পড়েন।
বিবৃতিতে বন্দী নেতাদের বিরুদ্ধে মনস্তাত্ত্বিক নির্যাতন জোরদারের কথাও উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, বন্দি নেতা মারওয়ান বারগুসী পরিবারের বিরুদ্ধে হুমকি ও নিরাপত্তা-সংক্রান্ত চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে, যার লক্ষ্য ভীতি সৃষ্টি করা এবং মনোবল দুর্বল করা।
স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির বন্দী বিষয়ক মিডিয়া অফিস কারাগারের ভেতরে সংঘটিত অপরাধগুলোর জন্য ইহুদিবাদী সন্ত্রাসী কর্তৃপক্ষকে সম্পূর্ণভাবে দায়ী করে এবং এর গুরুতর পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করে। বলা হয়, বন্দিদের প্রতি এই আচরণ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধের শামিল।
আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করে ইসরাইলের এমন নিয়মতান্ত্রিক গুরুতর অপরাধ ও লঙ্ঘন বন্ধ করতে হবে। বন্দীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং গাজ্জায় চলমান গণহত্যার জন্য ইসরাইলী নেতাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।










