ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের ‘এসআইআর’ (স্পেশাল ইন্টেন্সিভ রিভিশন অফ ইলেক্টোরাল রোলস) বিজেপি কর্তৃক ভোট চুরির নতুন অস্ত্র বলে অভিযোগ করেছেন লোকসভার বিরোধী দলপ্রধান ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
তার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলের এক পোস্টে তিনি বলেন, ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের ‘এসআইআর’ বিজেপি কর্তৃক ভোট চুরির নতুন অস্ত্র।
সোমবার (১৮ আগস্ট) মুসলিম মিররের এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়।
‘এক ব্যক্তি, এক ভোট’ নীতি রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পোস্টে সংযুক্ত ছবির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি আরো বলেন, এই ছবিতে আমার সাথে দাঁড়িয়ে থাকা এই লোকেরা এই চুরির জীবন্ত প্রমাণ। তারা সকলেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলো। কিন্তু বিহার বিধানসভা নির্বাচন আসার সাথে সাথে ‘এসআইআর’ এর আওতায় তাদের পরিচয়, তাদের অস্তিত্ব ভারতের গণতন্ত্র থেকে মুছে ফেলা হয়েছিলো।
তিনি আরো বলেন, আপনারা কি জানেন তারা কারা? রাজ মোহন সিং (৭০)। তিনি একজন কৃষক এবং অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক। উমরাবতী দেবী (৩৫)। তিনি দলিত হিন্দু এবং পেশায় একজন শ্রমিক। ধনঞ্জয় কুমার বিন্দ (৩০)। তিনি অনগ্রসর শ্রেণীর একজন লোক এবং পেশায় একজন শ্রমিক। সীতা দেবী (৪৫), যিনি নারী এবং ‘এম-এনআরইজিএ’ এর একজন প্রাক্তন শ্রমিক। রাজু দেবী (৫৫), যিনি অনগ্রসর শ্রেণীর লোক এবং পেশায় একজন শ্রমিক। মাহমুদ্দিন আনসারি (৫২), যিনি মুসলিম সংখ্যালঘু এবং পেশায় একজন শ্রমিক। বিজেপির সাথে নির্বাচন কমিশনের ঘনিষ্ঠতা ও যোগসাজশ এদেরকে ‘বহুজন’ এবং দরিদ্র হওয়ার শাস্তি দিচ্ছে। এমনকি তাদের কাছ থেকে আমাদের সৈন্যরাও রেহাই পায়নি। এদের না দেওয়া হয়েছে ভোটাধিকার, না দেওয়া হয়েছে ভোটার পরিচয়।
এছাড়াও তিনি বলেন, সামাজিক বৈষম্য এবং অর্থনৈতিক দুরাবস্থার কারণে এরা সরকারের নির্বাচনী ব্যবস্থার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারছেন না। তাই ‘এক ব্যক্তি, এক ভোট’ এর সবচেয়ে মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য আমরা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি।
এটি সকলের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং গণতন্ত্রে অংশগ্রহণের প্রশ্ন। আমরা কোনো অবস্থাতেই এই অধিকার ও অংশগ্রহণ শেষ হয়ে যেতে দিবো না।
সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, গত রোববার থেকে নির্বাচনী যাত্রা শুরু করেছেন কংগ্রেস নেতা ভারতের বর্তমান বিরোধী দলপ্রধান রাহুল গান্ধী। যাত্রা শুরুর আগে কয়েকজন লোকের একটি দল তার সাথে সাক্ষাত করে এবং নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ‘এসআইএর’ সিস্টেমের শিকার হওয়ার কথা জানান। যেখানে তারা জানান যে, লোকসভার নির্বাচনে তারা ভোটার হিসেবে অংশগ্রহণ করতে পারলেও বিধানসভার নির্বাচনে তাদের তালিকা সিস্টেমের আওতায় মুছে ফেলা হয়।









