ইরানের সাথে চুক্তি না থাকলেও আফগানিস্তান নদীর পানি প্রবাহ বন্ধ রাখতো না বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাওলানা আমির খান মুত্তাকী।
তিনি বলেন, পানিতে অংশীদার করে নেওয়া (পানি প্রদান) ধর্মীয় দায়িত্ব ও সাওয়াবের কাজ। এটি উত্তম নৈতিকতারও অংশ। ইরানের সাথে পানি চুক্তি না থাকলেও আফগান ইমারাতে ইসলামিয়ার সরকার হেলমান্দের পানি প্রবাহ বন্ধ রাখতো না।
সম্প্রতি তেহরান সংলাপ ফোরামে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে নদীর পানি প্রবাহ আটকে রাখার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি একথা বলেন।
মাওলানা মুত্তাকী আরো বলেন, যখন খরা থাকে না তখন নদীর পানি প্রবাহ স্বাভাবিক থাকে এবং অনায়াসেই তা ইরানে পৌঁছে যায়। কিন্তু পানির স্তর কম থাকার পাশাপাশি খরা শুরু হলে এর স্বাভাবিক প্রবাহে বিঘ্ন ঘটে। ইরান পর্যন্ত পানির প্রবাহ প্রাকৃতিক ভাবে বাঁধাগ্রস্ত হয়। ইমারাতে ইসলামিয়া সরকার ইরান ও এর জনগণকে আশ্বস্ত করছে যে, চুক্তি অনুযায়ী পানি বণ্টন ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের কোনো নেতিবাচক কিংবা বিরূপ উদ্দেশ্য নেই।
সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরান বারংবার অভিযোগ জানিয়ে আসছে যে, আফগানিস্তান পর্যাপ্ত পানি ছাড়ছে না। বিশেষত, খরার সময়। অপরদিকে ক্ষমতায় আসা তালেবান নেতৃত্বাধীন ইমারাতে ইসলামিয়ার সরকার প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা ও পানির স্তর ক্রমাগত কমতে থাকাকে এর প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করে আসছে।
এছাড়াও মাওলানা মুত্তাকী ইমারাত সরকারের বৃহত্তর কূটনৈতিক অবস্থান তুলে ধরে বলেন, আফগানিস্তান একটি ভারসাম্যপূর্ণ, অর্থনীতি-কেন্দ্রিক পররাষ্ট্র নীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেয়। ইমারাত সরকারের পররাষ্ট্র নীতিতে প্রতিবেশী দেশগুলোর একটি বিশেষ স্থান রয়েছে।
এর স্বপক্ষে প্রমাণ হিসেবে তিনি বলেন, ইমারাত সরকার গত চার বছরে কেবল প্রতিবেশীদের সাথেই নয় বরং আঞ্চলিক দেশগুলোর সাথেও গঠনমূলক সম্পর্ক বজায় রেখেছে। বিশেষত, অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, আফগানিস্তান ও ইরানের মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্য বর্তমানে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সহযোগিতার গুরুত্বকে তুলে ধরে।
সূত্র: আরিয়ানা নিউজ