গ্যাস নির্ভর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ইসরাইল নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসতে রাশিয়ার সাথে নতুন পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষর করেছে মিশর।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার মিশর ও রাশিয়ার মাঝে একটি নতুন পরমাণু চুক্তি সাক্ষর হয়েছে। মিশরের বিদ্যুৎ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি মন্ত্রী মাহমুদ ইসমাত বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, নতুন চুক্তিতে ছোট ও ভ্রাম্যমাণ পারমাণবিক চুল্লি তৈরিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যেনো যেসব প্রত্যন্ত অঞ্চল জাতীয় গ্রিডের সাথে সংযুক্ত নয় সেখানে এই চুল্লিগুলো পরিবহন করে নিয়ে যাওয়া যায়। সেসব এলাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ও ছোট স্থানীয় নেটওয়ার্ক পরিচালনা করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, মিশরকে পরমাণু প্রযুক্তি ও দক্ষতাও হস্তান্তর করবে রাশিয়া। এজন্য নতুন চুক্তিতে এই সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি কার্যক্রমও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ত্রিমাত্রিক উৎপাদনে ব্যবহৃত উন্নত প্রকৌশল প্রযুক্তিতে সহযোগিতার বিষয়েও চুক্তি সাক্ষর হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এছাড়াও বলেন, রাশিয়া ব্যাটারি এবং শক্তি-সঞ্চয় ব্যবস্থা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত পরিষেবা প্রদানের জন্য ব্যাপক উন্মুক্ততা প্রদর্শন করছে। আরব শিল্পায়ন সংস্থাও মিশরে পারমাণবিক শিল্পের কিছু উপাদান স্থানীয়করণে অংশ নিচ্ছে। বর্তমানে প্ল্যান্টের জন্য জেনারেটর তৈরির কাজ চলছে। ২০২৭ সালের আগে সব কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মিশরীয় প্রকৌশলীদের কাছে কার্যক্রম হস্তান্তরের আগে ইউনিটগুলোর প্রাথমিক কার্যক্রম রাশিয়ান বিশেষজ্ঞরা পরিচালনা করবেন।
নতুন চুক্তির আওতায় দাবা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র মিশরের বিদ্যুৎ ক্ষমতার ১২ শতাংশ উৎপাদনে সক্ষম হয়ে উঠবে উল্লেখ করে বলেন, এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ৮ বিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস সাশ্রয় করবে এবং ১ কোটি ৬০ লক্ষ টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন কমাতে সাহায্য করবে।
এছাড়া নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস বা জীবাশ্ম-জ্বালানি ভিত্তিক উৎপাদনের ওঠানামার দ্বারা প্রভাবিত না হয়েই এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থিতিশীল ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহে ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য, মিশরের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত বিভিন্ন কারণে বর্তমানে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের উপর নির্ভরশীল। এই খাতে রাশিয়ার সাথে দেশটির নতুন নতুন চুক্তি ও সম্পর্কোন্নয়ন ইসরাইল নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আস









