রবিবার | ২১ ডিসেম্বর | ২০২৫
spot_img

শহীদ হাদি হত্যা: মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে আটক ব্যক্তির জামিন

ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আপসহীন যোদ্ধা ও জুলাই বিপ্লবের অন্যতম প্রধান মুখ শরীফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যায় ব্যবহৃত মোটরসাইকলের মালিক সন্দেহে আটক আব্দুল হান্নান জামিন পেয়েছেন।

এর আগে, গত ১৭ ডিসেম্বর পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়, আব্দুল হান্নান প্রকৃত মোটরসাইকেল মালিক সে নন। নাম্বারের ভুলে তাকে আটক করা হয়েছিল।

আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান শাহাদাত শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, হাদিকে গুলি করার পর গত ১৩ ডিসেম্বর সন্দেহভাজন হিসেবে আব্দুল হান্নানকে আটক করে র‍্যাব-২। পরবর্তী তাকে পল্টন মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে ১৪ ডিসেম্বর তাকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় আটক করে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড চলাকালে তাকে শোরুম মালিকের মুখোমুখি করা হয়।

এছাড়া বিআরটিএ-তে তার নামে রেজিস্ট্রেশন করা দুটি গাড়ির তথ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি সুজুকি জিক্সার ও আরেকটি ইয়ামা গাড়ি রয়েছে। তবে হত্যায় ব্যবহার করা হয়েছে হোন্ডা ব্র্যান্ডের হর্নেট মডেলের গাড়ি। হান্নানের মোটরসাইকেলের নম্বর ঢাকা মেট্রো-ল ৫৪-৬৩৭৫, যা একটি সুজুকি ব্র্যান্ডের জিক্সার মোটরসাইকেল। হত্যায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের নম্বরের সঙ্গে একটি সংখ্যার ভুল রয়েছে। যে নম্বরের শেষে ৬ থাকার কথা, সেখানে ৫ শনাক্ত করা হয়েছে।

পরে রিমান্ড শেষে গত ১৭ ডিসেম্বর হান্নানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আব্দুল হান্নান প্রকৃত মোটরসাইকেল মালিক সে নন। নাম্বারের ভুলে তাকে আটক করা হয়েছিল। পরবর্তীতে আজ জামিন পান তিনি।

গত ১২ ডিসেম্বর পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ডিআর টাওয়ারের সামনে মোটরসাইকেলে আসা আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ রাহুল দাউদ ও তার সহযোগীরা চলন্ত অটোরিকশায় থাকা শরীফ ওসমান হাদিকে গুলি করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুর নেওয়া হলে ১৮ ডিসেম্বর রাতে তিনি মারা যান।

spot_img
spot_img
spot_img

এই বিভাগের

spot_img