ভারতের নামাজের সময় গানের সাউন্ড কমাতে বলায় মোহাম্মাদ ইব্রাহিম (২০) নামে এক মুসলিম যুবককে নির্মমভাবে মারধর করেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা।
ভারতের বিহারের মধুবনী জেলায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মুহাম্মাদ ইব্রাহীম তার ফুফুর বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। বাড়িটি স্থানীয় মসাজিদের কাছেই অবস্থিত। মসজিদের পাশ দিয়ে উচ্চ আওয়াজে গান বাজাতে বাজাতে হিন্দুদের একটি শোভাযাত্রা যাচ্ছিল। ইব্রাহীম তখন ভদ্রভাবে তাদের কাছে অনুরোধ করেন গানের সাউন্ড কমাতে অথবা সেখান থেকে চলে যেতে, যাতে নামাজের সময় শান্তিপূর্ণভাবে প্রার্থনা করা যায়। কিন্তু তারা ও মোহাম্মাদ ইব্রাহীমের উপর হিংস্র আক্রমণ চালায়।
প্রথমে এক হিন্দুত্ববাদী কর্মী ক্রুদ্ধ হয়ে ইব্রাহিমের মাথা থেকে টুপি নিয়ে ছুড়ে ফেলে দেয়। পরে তাকে তারা মারধর করে। এতে ইব্রাহিম মাথায় গুরুতর আঘাত পান।
ইব্রাহিমের বড় ভাই মোহাম্মাদ ইস্কার বলেন, “ইব্রাহিম বাড়িতে বসে ছিল। তখন একটা শোভাযাত্রা দীর্ঘ সময় ধরে মসাজিদের সামনে অবস্থান করছিল। যখন মসাজিদে আযান হলো, তখন ইব্রাহীম সে শোভাযাত্রার কাছে অনুরোধ করল, তারা যেন এগিয়ে যায় অথবা সাউন্ড কমিয়ে দেয়। তারপর তারা আমার ভাইকে মারধর করে।
ইব্রাহিমকে দ্রুত মধুবনী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তিনি এখনও গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল হলেও মারাত্মক, এবং আরও স্ক্যানের ফলাফলের ওপর নির্ভর করে পুনরুদ্ধার নিশ্চিত হবে।
পরিবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে, যাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয় এবং এই ধরনের বিদ্বেষপ্রসূত হামলা প্রতিহত করা যায়।
সিয়াসাত ডট কম মধুবনী পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা কোনো মন্তব্য করেনি। এই ঘটনার পর সম্প্রদায়ের নেতাদের মধ্যে রোষ দেখা দিয়েছে। তারা এটিকে সংখ্যালঘু অধিকার লঙ্ঘনের আরও একটি উদাহরণ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
সূত্র: মুসলিম মিরর