পর্যটন এলাকায় ধর্ষণ ও নানাবিধ অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় ভারত ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে আমেরিকা।
সোমবার (২৩ জুন) মুসলিম মিররের খবরে একথা জানানো হয়।
খবরে বলা হয়, আমেরিকার পররাষ্ট্র দপ্তর (US State Department) ভারত ভ্রমণে লেভেল-২ পর্যায়ের সতর্কতা জারি করেছে, যেখানে নিজ নাগরিকদের ধর্ষন ও সন্ত্রাসবাদ সহ নানাবিধ অপরাধের শিকার হওয়া থেকে নিরাপদ থাকতে সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
এই আকস্মিক ভ্রমণ সতর্কতা গত ১৬ জুন জারি করা হয়, যা ভারতের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ভ্রমণসংক্রান্ত অবস্থানের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
এতে উল্লেখ করা হয় যে, ভারতের পর্যটন এলাকাগুলোতে ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধরণের গুরুতর অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, তাই সকলকে ভারত ভ্রমণে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে।
এছাড়াও বলা হয় যে, বাজার, শপিংমল, সরকারী ভবনের মতো জনবহুল স্থানে হঠাৎ সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে এবং এগুলোর পূর্বাভাস নাও পাওয়া যেতে পারে। অনেক এলাকার জরুরী সেবার সীমা সীমিত। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্যান্য বিপদের ক্ষেত্রে তা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
সতর্কবার্তায় ধর্ষণ বৃদ্ধির বিষয়ে বলা হয়, ধর্ষণ হচ্ছে ভারতে দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকা অপরাধগুলোর অন্যতম। বিশেষত, পূর্ব মহারাষ্ট্র, উত্তর তেলেঙ্গানা এবং পশ্চিম পশ্চিমবঙ্গের মতো গ্রামীণ এলাকায় অতিরিক্ত সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
সতর্কবার্তায় আরো বলা হয় যে, আমেরিকার সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বিহার, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, ওড়িশা সহ প্রভৃতি রাজ্যের রাজধানীর বাইরের এলাকায় ভ্রমণের আগে বিশেষ অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।
মণিপুর ও উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যান্য রাজ্য, ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত অঞ্চল, এবং জম্মু-কাশ্মীর এলাকায় ভ্রমণেও সকলকে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ভারত-নেপাল সীমান্ত অতিক্রম না করার সুপারিশ করা হয়েছে। কারণ, সেখানে ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত গ্রেপ্তার বা জরিমানার ঝুঁকি রয়েছে।
স্যাটেলাইট ফোন ও জিপিএস ডিভাইস বহন করাও দেশটিতে অবৈধ, এসব নিয়ম লঙ্ঘন করলে জরিমানার মুখোমুখি হওয়া লাগতে পারে। তাই স্পষ্টভাবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যে, নারীরা যেনো ভারতে একা ভ্রমণ না করেন।
