বৃহস্পতিবার | ৩০ অক্টোবর | ২০২৫

রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া

রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে শান্তশিষ্ট দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) প্রাচীন ঐতিহাসিক ‘তা মোয়ান থম’ মন্দিরের নিকটবর্তী বিবাদপূর্ণ সীমান্তে এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সূচনা হয়।

থাই সরকারের আনুষ্ঠানিক তথ্য অনুসারে সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত তাদের মোট ১২ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ২জন সেনা সদস্যও রয়েছে। তবে কম্বোডিয়া তাদের হতাহতের ব্যাপারে এখনো কোনো বিবৃতি দেয়নি।

সংঘর্ষের ব্যাপারে দু’পক্ষই একে অপরকে প্রথমে গুলিবর্ষণের জন্য দায়ী করে।

থাই সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, প্রাচীন ‘তা মোয়ান থম’ মন্দিরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত একটি ইউনিট স্থানীয় সময় সকাল ৭:৩৫ এ কম্বোডিয়ান ড্রোনের উপস্থিতি টের পায় এবং ৬ জন কম্বোডিয়ান সশস্ত্র সেনাকে সীমান্তে তাদের সামরিক অবস্থানের দিকে এগিয়ে যেতে দেখে। পরবর্তীতে থাই সামরিক ঘাঁটি থেকে ২০০ মিটার (৬৬০ ফুট) দূরে মন্দিরের পূর্ব দিকে কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে গুলিবর্ষণ হয়। সীমান্তবর্তী সুরিনের কাপ চোয়েং জেলায় চালানো হয় রকেট হামলা। রকেট হামলায় দুটি BM-21 মডেলের রকেট ব্যবহার করা হয়।

থাই সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিচা সুকসুওয়ানন জানান, কম্বোডিয়ার এমন উস্কানির জবাব দিতে তারা উবোন রাতচাথানি প্রদেশ থেকে ছয়টি থাই এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছিলেন, যা দেশটির ২টি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়।

অপরদিকে কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, থাইল্যান্ড প্রথমে গুলি চালিয়েছে। এর আগে তাদের সেনাদের কম্বোডিয়ায় অনুপ্রবেশের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে, যা আমাদের আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘন করে। তাই নজরদারির জন্য প্রথমে ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছিলো। কম্বোডিয়ার সেনারা আত্মরক্ষার গণ্ডিতে থেকে এর কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।

কম্বোডিয়ার প্রভাবশালী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হুন সেন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে বলেছেন, থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী সীমান্তবর্তী দুটি কম্বোডিয়ান প্রদেশ ওদ্দার মিঞ্চে এবং প্রিয়াহ ভিহিয়ারে গোলাবর্ষণ করেছে। এজন্য পাল্টা আক্রমণ ছাড়া কম্বোডিয়ান সেনাবাহিনীর আর কোনো বিকল্প ছিলো না।

সূত্র: আল জাজিরা

spot_img

সর্বশেষ

spot_img

এই বিভাগের

spot_img