আগামী জাতীয় নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, যার ভোট সে দেবে একজনকেই দেবে, আর সেই ব্যক্তিকে চিনতে হবে। কিন্তু এই প্রস্তাবিত পদ্ধতিতে ভোট দেবে সন্দ্বীপে, আর প্রার্থী থাকবে মালদ্বীপে এটাই হলো পিআর। মানুষ এটি না বোঝে, না পড়ে, না বিশ্বাস করে। যারা এসব কন্ডিশন তৈরি করে তারা সুপরিচিত।
শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে জামালপুর শহরের বেলটিয়া এলাকায় জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে টুকু বলেন, এই সরকার যদিও কিছুটা দেরিতে হলেও নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে বলে জানানো হয়েছে। এ নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। নতুন বিষয় হিসেবে পিআর পদ্ধতি সামনে আনা হয়েছে। অথচ আমাদের দেশে ভোটাররা সবসময় প্রার্থীর মুখ চিনে ভোট দিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, মানুষ দেখে, প্রার্থীকে এমপি বানালে তার কাছে যাওয়া যাবে কি না, তার ঠিকানা ও পরিচয় স্পষ্ট আছে কি না। এসব বিবেচনা করেই ভোট দেয়। এটি ১৯৩৭ সাল থেকে চালু হয়ে আজও কার্যকর। তাই নতুন করে এটি নিয়ে গবেষণার কিছু নেই।
তিনি আরও বলেন, “মুক্তিযুদ্ধকে অনেকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা না বলে ২৪’কে বলেন। কিন্তু সন্তান জন্ম হয় একবারই। মুক্তিযুদ্ধ যে স্বাধীনতা এনেছে সেটিই একমাত্র স্বাধীনতা। আমরা চাই না, ১৯৭১ সালের মতো ২০২৪ সালও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাক।