পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আমেরিকার সাথে তেহরান সরাসরি আলোচনা করবে না বলে জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
তিনি বলেন, আমেরিকা সবকিছুতেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে, সবকিছুতেই মিথ্যা বলে, প্রতারণা করে, সামরিক আগ্রাসনের হুমকি দেয়। সুযোগ পেলে তারা আরও মানুষ হত্যা করবে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।
খামেনি বলেন, চাপের মুখে বসে আলোচনা ইরানের জন্য কোনো সুফল বয়ে আনবে না। তিনি জোর দিয়ে বলেন, পশ্চিমা চাপ বাড়লেও তেহরান কখনো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ত্যাগ করবে না। পারমাণবিক অস্ত্র ইরানের জন্য প্রয়োজনীয় নয় এবং সেটি দেশের কৌশলের অংশও নয়। তবে জাতীয় প্রয়োজনে ইউরেনিয়াম ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ করার অধিকার ইরানের রয়েছে।
ইরানকে পুরোপুরি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ থেকে বিরত থাকতে হবে, আমেরিকার এই দাবি জাতীয় অপমান বলে অভিহিত করে তিনি বলেন, ‘হুমকি বা চাপের মুখে আলোচনায় বসা- সম্মান, মর্যাদা আর গৌরবের পরিপন্থী। আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় জাতীয় স্বার্থ রক্ষা হবে না, কোনো উপকার আসবে না, বরং ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি।’
তিনি স্পষ্ট করে দেন, নিষেধাজ্ঞা কিংবা বিদেশি চাপের কাছে ইরান নতি স্বীকার করবে না। দেশের প্রয়োজনে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা অপরিহার্য।
বার্তায় খামেনি ইসরাইলের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনেন। তিনি বলেন, তেহরানে অস্থিতিশীলতা তৈরি এবং ইসলামী প্রজাতন্ত্র-পরবর্তী পরিস্থিতির প্রস্তুতি নিতে ইসরাইলি এজেন্টরা প্রতিবাদ উসকে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। লক্ষ্য ছিল ইরান থেকে ইসলামকে উপড়ে ফেলা। তবে এসব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে বলেও জানান তিনি।
খামেনি জোর দিয়ে বলেন, ইরান পারমাণবিক অস্ত্রের পথে হাঁটবে না। তবে উন্নত পারমাণবিক প্রযুক্তি অর্জনের অধিকার তাদের রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের পারমাণবিক অস্ত্রের প্রয়োজন নেই, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সেই পথে যাবো না। কিন্তু শান্তিপূর্ণ প্রযুক্তির উন্নয়ন আমাদের অধিকার।’