আফগানিস্তানের কাতারস্থ রাষ্ট্রদূত সুহাইল শাহীন বলেছেন, ইমারাতে ইসলামিয়া ও অন্যান্য দেশের মধ্যে সম্পর্কের প্রসারে কাতারের ভূমিকা অত্যন্ত গঠনমূলক।
সুহাইল শাহীন বলেন, “কাতার এখনো আফগানিস্তানের মাঠের বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। যেহেতু কাতার ইসলামি মূল্যবোধ ও আফগান সংস্কৃতির সঙ্গে ভালোভাবে পরিচিত, তাই অন্যান্য বিদেশি দেশের তুলনায় তাদের ভূমিকা অনেক বেশি কার্যকর।”
তিনি বলেন, আফগান ইস্যুতে ভবিষ্যতেও কাতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
জাতিসংঘে নিযুক্ত কাতারের স্থায়ী প্রতিনিধি শাইখা আলিয়া বিনতে আহমদ বিন সাইফ আল-ছানী বলেন, আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় কাতার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
তিনি বলেন, “কাতার সরকার শান্তি ও স্থিতিশীলতার পথে বড় চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলায় আফগানিস্তানকে সহায়তা করতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তার ধারাবাহিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব উদ্যোগের অংশ হিসেবে জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন দোহা প্রক্রিয়ার আয়োজক হিসেবেও কাতার সক্রিয় রয়েছে, যার লক্ষ্য হচ্ছে আফগানিস্তানের আন্তর্জাতিক সমাজে পূর্ণাঙ্গ একীভূতকরণ।”
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান ও আমেরিকার মধ্যে বন্দি বিনিময়, একজন কানাডীয় নাগরিকের মুক্তি, এবং জার্মানির বার্লিন ও বন শহরে ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের দুই কূটনীতিককে স্বীকৃতি প্রদানসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কাতার সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।
গত এক দশকে আফগানিস্তানের রাজনৈতিক পরিবর্তনে কাতারকে অন্যতম প্রভাবশালী দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান ও আমেরিকার মধ্যে স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক দোহা চুক্তির আয়োজক ছিল কাতার। এই চুক্তিকে আফগানিস্তানে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচক হিসেবে দেখা হয়।
সূত্র : তোলো নিউজ