মঙ্গলবার | ২৬ আগস্ট | ২০২৫

হিজাব ও দাড়ির কারণে শাস্তি; তীব্র নিন্দা ইসলামী ছাত্রসমাজের

হিজাব পরায় ২২ শিক্ষার্থীকে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া এবং দাড়ি রাখার কারণে পুলিশ সদস্যদের শাস্তি প্রদানের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজ।

আজ সোমবার (২৫ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, “গত ২৪ আগস্ট বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত ভিকারুননিসা নূন স্কুলের প্রভাতী শাখার ষষ্ঠ শ্রেণির ২২ জন শিক্ষার্থী হিজাব পরে ক্লাসে প্রবেশ করায় বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষিকা ফজিলাতুন নাহার তাদেরকে ক্লাস থেকে বের করে দেয় এবং ‘জঙ্গির মতো দেখায়’ বলেও মন্তব্য করেন। যা মুসলিম প্রধান রাষ্ট্রের নাগরিকদের ধর্মীয় স্বাধীনতা পরিপন্থী এবং ধর্মীয় বিধান পালনের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন ও অবমাননার শামিল।

বিবৃতিতে বলা হয়, “গত ২১ আগস্ট ২০২৫ হবিগঞ্জ জেলায় কর্মরত দুলাল মিয়া, হৃদয় আহমেদ ও ইফতেখার হোসেন সুমন নামে কনস্টেবল পদবীধারী বাংলাদেশ পুলিশের তিনজন সদস্যকে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক দাড়ি রাখার অভিযোগে শাস্তি হিসেবে লঘুদণ্ড ‘পিডি’ প্রদান করা হয়। যা রাষ্ট্রের একজন মুসলিম নাগরিকের মৌলিক অধিকারহরণ বলেই প্রতীয়মান হয়।”

এই ঘটনাগুলো রাষ্ট্রের কাঠামোগত ইসলাম বিদ্বেষের সুস্পষ্ট প্রমাণ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, “গত ফ্যাসিস্ট সরকার ও তার দোসররা যেসব পদ্ধতি দ্বারা ইসলাম ও মুসলিম সমাজে ইসলাম বিদ্বেষ ছড়াতো, সে পদ্ধতি আবারো পূণরাবৃত্ত হচ্ছে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে।”

অনতিবিলম্বে অভিযুক্তদের বহিষ্কার, উপযুক্ত শাস্তি প্রদান এবং ধর্মীয় অধিকারে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানান তারা। অন্যথায় অপ্রত্যাশিত যে কোনো ধরণের প্রতিক্রিয়ার দায় সরকার ও কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে বলেও সতর্ক করেন তারা।

spot_img

এই বিভাগের

spot_img