আমেরিকা যুদ্ধের উস্কানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেছেন ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আমেরিকার বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধের উস্কানি’ দেওয়ার এ অভিযোগ আনেন তিনি।
ক্যারিবীয় অঞ্চলে একটি বিমানবাহী রণতরী পাঠিয়ে সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে ওয়াশিংটন। মার্কিন এ পদক্ষেপের ফলে মাদুরো অভিযোগটি করেন। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে মাদুরো বলেন, ‘তারা একটি নতুন চিরস্থায়ী যুদ্ধ তৈরি করছে। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, আর কোনো যুদ্ধে জড়াবে না, অথচ এখন নিজেরাই যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করছে।’
শুক্রবার পেন্টাগন দাবি করছে, ল্যাটিন আমেরিকায় মাদক পাচারকারী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ওয়াশিংটন একটি বিমানবাহী রণতরী স্ট্রাইক গ্রুপ মোতায়েন করছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতি যুদ্ধের আশঙ্কাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেপ্টেম্বর মাসে একটি আগ্রাসী সামরিক অভিযান শুরু করেন, যেখানে ১০টি এফ-৩৫ স্টেলথ যুদ্ধবিমান এবং ৮টি মার্কিন নৌযান অংশ নিচ্ছে।
ট্রাম্প বলেন, এই অভিযান ‘মাদক-সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে পরিচালিত হচ্ছে।
কমপক্ষে ১০টি নৌযানে পরিচালিত হামলায় এখন পর্যন্ত ৪০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
নিহতদের পরিবার ও ভেনিজুয়েলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা মূলত বেসামরিক নাগরিক ছিলেন, যাদের মধ্যে কিছু জেলে সাগরে মাছ ধরছিলেন।
বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ঘোষণা করেছে, ভেনিজুয়েলার উপকূলের কাছে ট্রিনিদাদ ও টোবাগোর সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হবে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, মার্কিন নৌবাহিনীর ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস গ্র্যাভলি ২৬ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত পোর্ট অব স্পেনে নোঙর করবে এবং আমেরিকার মেরিন সেনারা ট্রিনিদাদ ও টোবাগো প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে যৌথ প্রশিক্ষণ পরিচালনা করবে।









