হিজাব পরিহিত ছাত্রীদের ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফজিলাতুন নাহারের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশও জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বসুন্ধরা শাখার প্রভাতী ষষ্ঠ শ্রেণির ২২ জন ছাত্রীকে হিজাব পরার কারণে শ্রেণিকক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। এতে স্কুলজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
অভিভাবকরা জানান, তাদের সন্তানরা ইসলামি নির্দেশনা মেনে প্রতিদিনের মতো হিজাব পরে ক্লাসে গিয়েছিল। কিন্তু ওইদিন ইংরেজি শিক্ষিকা ফজিলাতুন নাহার তাদের হিজাব নিয়ে অপমান করেন এবং ক্লাস থেকে বের করে দেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি শিক্ষার্থীদের ‘জঙ্গির মতো’ বলে কটূক্তি করেন এবং খারাপ ব্যবহার করেন।
অভিভাবকরা বলেন, এটি শুধু শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে আঘাত করা নয়, বরং তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতাকেও উপহাস করা।
অভিযোগ অস্বীকার করে শিক্ষিকা ফজিলাতুন নাহার দাবি করেন, তিনি হিজাব নিষিদ্ধ করেননি, বরং ‘সঠিকভাবে হিজাব পরতে’ বলেছিলেন। তার দাবি, মাত্র ১০–১৫ মিনিটের জন্য কয়েকজনকে বাইরে দাঁড় করানো হয়েছিল। তিনি আরও দাবি করেন যে, তিনি ‘জঙ্গি’ শব্দটি ব্যবহার করেননি, বরং বলেছিলেন, এ ধরনের ওড়না সাধারণত মাদরাসার ছাত্রীদের পোশাকে দেখা যায়।
স্কুলের অভিবাবকরা বলছেন, হিজাব মুসলিম নারীর ঈমানি পরিচয়ের প্রতীক। স্কুলের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এটিকে উপহাস করা বা হেয় করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষার্থীদের হিজাব নিয়ে কটূক্তি করা কেবল তাদের ধর্মীয় অধিকারে হস্তক্ষেপ নয়, বরং এটি সাংবিধানিক অধিকারেরও লঙ্ঘন।
ঘটনার পর স্কুল কর্তৃপক্ষ এডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। একই সঙ্গে তাকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।