আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম বৈদেশিক সফর হিসেবে সৌদি আরবকেই বেছে নিয়েছেন। তার উদ্দেশ্য হল কয়েকশ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন পণ্য বিক্রয়ের চুক্তি সম্পন্ন করা। তবে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, সৌদি আরব যদি এই বিপুল অর্থ মূল্যের চুক্তি থেকে সরে আসে, তাহলে এই সফর বাতিল হতে পারে।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ট্রাম্প বলেন, “সর্বশেষ আমি যখন সৌদি আরব সফর করি, তখন বিলিয়ন ডলারের মার্কিন পণ্য ক্রয়ের জন্য রাজি হয়েছিল রিয়াদ।”
প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ঐতিহ্যগতভাবে প্রথম বৈদেশিক সফর হিসেবে সব সময় যুক্তরাজ্যেকে বেছে নেন মার্কিন প্রেসিডেন্টরা। তবে সৌদি আরব সফরের মাধ্যমে সম্ভবত এই প্রথা ভাঙতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। শুধু তাই নয়, ডোনাল্ড ট্রাম্পই একমাত্র প্রেসিডেন্ট যিনি উপসাগরীয় মুসলিম দেশগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন।
এদিকে, সাম্প্রতিক এক ফোনালাপে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বৈঠক করেছেন সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমান। এই ফোনালাপে তিনি জানিয়েছেন, দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে, আগামী ৪ বছরে ৬০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে রিয়াদের।
অন্যদিকে, সর্বনিম্ন ৫০০ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের মার্কিন পণ্য ক্রয় না করলে সৌদি আরবের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে ট্রাম্প।
সূত্র: রয়টার্স