ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের পরিবারগুলোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সহায়তা সামগ্রী প্রদান করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আশরাফ মাহদী।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) জেলার সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া, বেড়তলা, নোয়াগাঁও ও অরুয়াইল ইউনিয়নে শহীদ পরিবারের সদস্যদের খোঁজ-খবর নিয়ে এবং ভবিষ্যতে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।
২০২১ সালে ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী আন্দোলন ও ২০২৪ সালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদগণ হলেন— আল আমিন (১৭), লিটন (৩৮), হাদিস (২৮) ও জসিম (৬০)।
সাক্ষাৎ পর্বে শহিদ আল আমিনের বাবা শফি আলী বলেন, আল আমিন কওমি মাদরাসায় হিফজ বিভাগের ছাত্র ছিল। ধর্মীয় মূল্যবোধ আর ঈমানি চেতনায় সে আন্দোলনে যোগ দেয়। সে ২০২১ সালের ২৮ মার্চ শহিদ হয়।
শহীদ লিটনের (৩৮) ভাই মোঃ মামুন বলেন, আমার বড় ভাই ছিল অটোরিকশা চালক। ২০২১ সালে বাংলাদেশে নরেদ্র মোদির আগমন সাধারণ মানুষের মতো তাকেও পীড়া দেয়। সে রাজপথে নেমে আসে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পীরবাড়িতে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হয়। এরপর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে।
শহীদ জসিমের (৬০) স্ত্রী শাহানা বেগম বলেন, আমার স্বামী ঢাকায় ঝালমুড়ি বিক্রি করে সংসার চালাতেন। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে ১৯ জুলাই রামপুরায় পুলিশের গুলিতে শহিদ হন। এখন একমাত্র ছেলে কাউসার (১৬) ঝালমুড়ি বিক্রি করে সংসারের হাল ধরেছে।
শহিদ হাদিস (২৮) এর স্ত্রী হনুফা বেগম বলেন, উনি বিশ্বরোড মোড়ে পুলিশের আক্রমণে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহিদ হন। তিনি তিতাস বাস কাউন্টারে কাজ করতেন। আমি স্বামী হত্যার বিচার চাই।
এসময় শহীদ পরিবারের সদস্যরা ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সংগঠিত সকল হত্যাকান্ডের বিচারের দাবি করেন।
মাওলানা আশরাফ মাহদী শহিদ পরিবারদের আশ্বস্ত করে বলেন, খুনিদের বিচার নিশ্চিত না করা পর্যন্ত আমরা রাজপথে আছি এবং থাকবো। নিজেদের সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে শহিদ পরিবারের পাশেও থাকবো ইনশাআল্লাহ।
সাক্ষাৎ পর্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ মীর মুগ্ধের বাবা মীর মুস্তাফিজুর রহমান, বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ড. তৌফিকুল ইসলাম মিথিল, বিশিষ্ট সমাজ কর্মী আবু বকর সিদ্দিক জাবের, জাতীয় নাগরিক পার্টির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মাদ রনি, তারেক জামিল ও নাসরুল্লাহ মুয়াজ প্রমুখ।