সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমাদ শারা আল-জুলানী বলেছেন, আলেম-ওলামা, জ্ঞানীগুণী ও সকল শ্রেণীর কর্মীদের নিয়ে আমরা সিরিয়াকে পুনর্গঠনের চেষ্টা করছি। আর নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণে ফতোয়ার গুরুত্ব অপরিসীম।
শনিবার (২৯ মার্চ) সিরিয়ার গ্র্যান্ড মুফতী পদ এবং সুপ্রিম ফতোয়া কাউন্সিল গঠন উপলক্ষে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
প্রেসিডেন্ট জুলানী বলেন, পূর্বে সীমালঙ্ঘনের জন্য ফতোয়ার আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণে ফতোয়ার দায়িত্ব, আমানতদারিতা ও গুরুত্ব কারো কাছে অজানা থাকার কথা নয়।
প্রেসিডেন্ট জুলানী আরও বলেন, পতিত সরকার সিরিয়ার প্রতিটি ক্ষেত্রকে যেভাবে ধ্বংস করেছে সেসব পুনর্বহাল ও পুনরুদ্ধার আমাদের উপর আবশ্যক ছিলো। তন্মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিলো আরব প্রজাতন্ত্র সিরিয়ার গ্র্যান্ড মুফতীর পদ ফিরিয়ে আনা। উপযুক্ত ব্যক্তিকে এই পদে নিযুক্ত করা। আলহামদুলিল্লাহ এমন ব্যক্তি এই পদে নিযুক্ত হয়েছেন যিনি শামের উলামাদের মাঝে শ্রেষ্ঠ। তিনি আর কেউ নন, শায়েখ উসামা বিন আব্দুল কারিম আর-রিফায়ী হাফিজাহুল্লাহ।
তিনি বলেন, একইভাবে সুপ্রিম ফতোয়া কাউন্সিল গঠনের মাধ্যমে ফতোয়াকে সম্মিলিত দায়িত্বে ফিরিয়ে আনাও প্রয়োজন। যেন কাউন্সিলে সর্বোচ্চ চিন্তা, গবেষণা ও পর্যালোচনার পরই শুধুমাত্র ফতোয়া জারি হয়। কেননা, ফতোয়া হলো মহান জিম্মাদারি এবং আল্লাহর পক্ষে সাক্ষর।
তিনি আরও বলেন, ফতোয়া কাউন্সিল বাস্তবতার নিরিখে সমসাময়িক ও মৌলিক দ্বীনি আলোচনায় মধ্যপন্থা ঠিক করে দেওয়ার চেষ্টা করবে, যা বিভক্তির দিকে পরিচালিত করে এমন মতবিরোধ নিরসনে ভূমিকা রাখবে। দ্বন্দ্ব ও অনিষ্টতার দরজা বন্ধ করে দিবে।
সূত্র: সানা