ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, হজ্বযাত্রীদের সৌদি আরবে পৌঁছানোর ৩১ মের মধ্যে যে সময়সীমা ছিল, তা ‘বিশেষ কারণে’ একদিন বাড়ানো হয়েছে। বাকি হজ্বযাত্রীরা ১ জুনের মধ্যেই সৌদি আরবে পৌঁছে যাবেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান উপদেষ্টা। এবারের হজ্ব ব্যবস্থাপনার সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরতে বিমানবন্দরসংলগ্ন আশকোনা হজ্ব ক্যাম্পে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে নির্ধারিত ৮৭ হাজার ১০০ জন হজ্বযাত্রীর মধ্যে ৭৪ হাজার ৩১৬ জন সৌদি আরব পৌঁছেছেন। বাকিরাও আগামী ১ জুনের মধ্যে সৌদি আরব যাবেন। এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, বিমানের ভাড়া বেশি হওয়ায় অতীতে অনেকেই সময়মতো হজ্বে যেতে পারেননি। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সহযোগিতায় এ বছর প্রত্যেক হজ্বযাত্রীর বিমান ভাড়া ২৬ হাজার ৯৮০ টাকা কমানো হয়েছে। এ ছাড়া ৮৭ হাজার ১০০ হজ্বযাত্রীর জন্য সরকার ১০ কোটি টাকা মূল্যের টিকা বিনামূল্যে সরবরাহ করেছে।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, হজ্বের খরচ যৌক্তিক করার বিষয়টি আমাদের অন্যতম অগ্রাধিকার ছিল। খরচ কমানোর বিষয়ে আমরা সর্বান্তকরণে চেষ্টা করেছি। তবে বাস্তবতা হলো, হজ্বের খরচের যে খাতগুলো রয়েছে, তার মধ্যে অধিকাংশই সৌদি সরকার নির্ধারিত।
বিমান ও হোটেল ভাড়া—এ দুটি খাত ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোনো খাতে খরচ কমানোর বিষয়ে আমাদের দরকষাকষির সুযোগ থাকে না।
আগামীতে নদীপথে বড় জাহাজে করে হজ্বযাত্রী পাঠানোর বিষয়ে আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। এ বিষয়ে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ও জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন ধর্ম উপদেষ্টা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক, হজ্ব অফিসার লোকমান হোসেন প্রমুখ।