ফেনীতে গত (১৩ নভেম্বর) উপজেলার বাঁশপদুয়া গ্রামে সীমান্তবর্তী এলাকায় ধান কাটতে গেলে বিএসএফ মেজবাহ উদ্দিনকে ধরে নিয়ে যায়। তিন দিন পর স্থানীয়রা তার লাশ ভারতীয় সীমান্তের কাঁটাতারের একশ গজ ভেতরে পড়ে থাকতে দেখে বিজিবিকে খবর দিলে (১৬ নভেম্বর) রাত ৩টায় বিজিবি-বিএসএফের বৈঠক শেষে মেজবাহ উদ্দিনের লাশ জঙ্গল থেকে নিয়ে যায় বিএসএফ
আজ মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে বিলোনিয়া স্থলবন্দরের চেকপোস্ট দিয়ে ১৬ দিন পর বিএসএফ মেজবাহ উদ্দিনের লাশ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। এসময় দুই দেশের সীমান্তবর্তী থানা পুলিশ উপস্থিত ছিল।
নিহত মেজবাহ উদ্দিনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম অভিযোগ করেন, এটা যে তার স্বামীর লাশ তা চেনার কোনো উপায় নেইস। লাশ অনেকটা পচে গলে গেছে। এসময় তিনি বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।
বিএসএফ তার স্বামীকে বাংলাদেশ থেকে ধরে নিয়ে বিনা অপরাধে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন নিহত মেজবাহ উদ্দিনের স্ত্রী।
ভারতের বিলোনিয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক পারিতোষ দাস জানান, নিহত মেজবাহ উদ্দিনের শরীরে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এখনো তাদের হাতে আসেনি। অফিশিয়ালি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বাংলাদেশ পুলিশকে দেওয়া হবে।
পরশুরাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মেজবাহ উদ্দিনের মরদেহ ফেরত দেওয়ায় পর ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।